সকল মেনু

‘বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন এই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই’

al-anni_17484হটনিউজ২৪বিডি.কম : বাঙালি জাতি যা কিছু পেয়েছে আর বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন হয়েছে তা এই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে বলে দাবি করেছেন সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আর সে কারণেই অতীতে বার বার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে, ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে বলেই বার বার আঘাত ও ভাঙার চেষ্টা করার পরও কেউ সফল হয়নি। যতবার এ দল ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই আওয়ামী লীগ আরও দৃঢ় উজ্জ্বলতর হয়ে জনগণের সামনে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত ও শক্তিশালী হয়েছে। তাই যতই ষড়যন্ত্র হোক, আঘাত আসুক, নীতি-আদর্শ নিয়ে পথ চলা আওয়ামী লীগের বিজয়কে কেউ ঠেকাতে পারেনি, পারবেও না ইনশাল্লাহ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের শিকড় এতোই গভীরে যে, ইস্কান্দার মির্জা থেকে শুরু করে ইয়াহিয়া-জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বারবার আওয়ামী লীগকে ভাঙার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তারা পারেননি। উপরের নেতারা মাঝে মাঝে কিছু ভুল করেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা কখনো ভুল করে না। তাই আগামীতেও আওয়ামী লীগের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। সততা নিয়ে রাজনীতি করার জন্য দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। দেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে একজন নেত্রী ইফতারের সময় প্রতিদিনই অজস্র মিথ্যাচার করে চলেছেন। অথচ উনি ক্ষমতায় থাকতে দেশের জন্য কিছুই করেননি। বরং নিজেদের বিলাস-ব্যসনে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর থেকে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা ভোগ বিলাসেই মত্ত থেকেছে। দেশের মানুষের কথা ভাবেননি। দেশকেও কিছু দিতে পারেনি।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শুধু দলের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই মন্ত্রী হওয়ার লোভে দল ত্যাগ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আমিও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেখানো পথ অনুসরণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমার চাওয়া-পাওয়া বা হারাবার কিছু নেই। যে দেশের জন্য আমার বাবা-মা ও ভাইরা জীবন দিয়ে গেছেন, সেই দেশের মানুষের জীবনের ভাগ্যের পরিবর্তন, কল্যাণ ও হাসি ফোটানোই আমার রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগকে জনগণের অধিকার আদায়ে চার চারটি সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আত্মোত্সর্গ করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দলের সেই ইতিহাস নেই। তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবোই ইনশাল্লাহ।

সংসদ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখল করে একাত্তরের গণহত্যাকারী, পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় পুনর্বাসন করেন জেনারেল জিয়া। জিয়া যেমন যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী-উপদেষ্টা-মন্ত্রী বানিয়েছেন, তার স্ত্রীও বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশিদকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে এমপি বানিয়ে সংসদে বসিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য মৃত্যুদ-প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতে রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। আর এইচ এম এরশাদও কম যাননি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদদ দেয়া ছাড়াও এক খুনিকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী পর্যন্ত করিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ধারায় ফিরে আসে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top