সকল মেনু

 চাঁদপুরে একটি ব্রিজ নির্মাণের পরও পরিত্যাক্ত পড়ে আছে

70fbe84b-995b-4c0c-96fd-02bf056987d3শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর:  চাঁদপুরের দুটি উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হলেও চার বছরেও নির্মাণ করা হয়নি সড়ক। এর ফলে দুই উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি বেড়েছে, বেড়েছে ক্ষোভ। তারা দাবি তুলেছে, যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা নির্মাণ করে সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করা হোক। এ দিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। অবশ্য এরকম আশ্বাসই শুনে আসছে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে হাজীগঞ্জ-মতলব উপজেলার সীমান্তবর্তী ছেঙ্গাতলী এলাকায় বেতাগি খালের উপর ৩১.৮৪ মিটার দীর্ঘ সেতুর কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১২-১৩ অর্থবছরে। ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অথচ অ্যাপ্রোচ সড়কটি নির্মিত হলে রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জের যানবাহনগুলো বাকিলা বাজার থেকে ছেঙ্গাতলী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর হয়ে ঢাকা যেতে দুই ঘণ্টা সময় বাঁচবে। প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা ভোগ করবে দুই উপজেলার অধিবাসীরা। অথচ সেতুটিতে ইতোমধ্যে শেওলা ধরে নষ্ট হতে শুরু করেছে।
ছেঙ্গাতলী এলাকার ষাটোর্ধ্ব ছায়েদ আলী, রুস্তম মিয়া ও তমিজ শেখ, হাসান আলী বলেন, ‘বহু বছর পর যাও একটা ব্রিজ বানাইছে, আমাগো তো কোনো কামে আইতাছে না। রাস্তা ছাড়া ব্রিজ দিয়া কী ওইবো? ব্রিজ অইচে বালা কতা, অহন রাস্তা অইলে আমাগো এলাকাডা উন্নত অইতো। আমাগোরে দেহনের কেহ নাই।’
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, ইতোমধ্যে রাস্তার ভূমি অধিগ্রহণের টাকা জেলা প্রশাসক বরাবরে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের জন্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। আশা করছি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ সড়কের কাজ শেষ হবে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারেননি তিনি। দ্রুত সড়ক নির্মাণ করার দাবি এ অঞ্চলের মানুষের। অন্যথায় ফুঁসে উঠতে পারে এ অঞ্চলবাসী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top