সকল মেনু

এলইডি প্যানেল ও ব্যাকলাইট উৎপাদনে ওয়ালটনের ব্যাপক বিনিয়োগ

P-3

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার বাংলাদেশেই এলইডি প্যানেল ও ব্যাকলাইট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন। এ লক্ষ্যে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি, সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজ এর সমন্বয়ে স্থাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিকমানের কারখানা। যেখানে বছরে উৎপাদন করা হবে ২০ লাখ ইউনিট এলইডি প্যানেল। অভ্যন্তরীন চাহিদা মিটিয়ে যার উল্লেখযোগ্য অংশ রপ্তানি হবে।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনে ৮ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ৪তলা বিশিষ্ট এলইডি প্যানেল ও ব্যাকলাইট তৈরির কারখানা। যেখানে থাকবে ক্লাস দশ হাজার (১০,০০০) মানের ক্লিন রুম। কারখানার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এরইমধ্যে জার্মানী থেকে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির অপটিক্যাল গ্রেড এক্সট্রুশন মেশিনারিজ লাইন ক্রয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কারখানায় যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হাইড্রোলিক ডাই কাটিং ও দ্রুত গতির ডট প্রিন্টিং সিস্টেম। আগামী অক্টোবর থেকে এসকল যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। উৎপাদন শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারীতে।

এলইডি ডিসপ্লেযুক্ত সকল পণ্য যেমন টিভি, ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটারের মনিটর, মোবাইল ও ট্যাবের ডিসপ্লে তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এলইডি প্যানেল। এটি দেশে উৎপাদিত হলে এলইডি ডিসপ্লে সম্বলিত পণ্যের উৎপাদনে খরচ বহুলাংশে কমবে। এতে গ্রাহকরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি দেশও হাই-টেক শিল্পে বিশ্ব দরবারে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর তাওসীফ আল মাহমুদ বলেন, একদল অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলী নতুন প্রজম্মের ডিসপ্লে ও ব্যাকলাইট তৈরির জন্য কাজ করছেন। এক্ষেত্রে তারা ইতোমধ্যে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি যোগ করেন, দক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম এলইডি প্যানেল উৎপাদনে যাচ্ছে।

তিনি জানান, টেলিভিশনের স্ক্রিণ বাদে ভেতরের অংশকে একসঙ্গে ব্যাকলাইট বলা হয়। ওয়ালটন কারখানায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইনোভেটিভ ব্যাকলাইট তৈরি করা হবে। যা এলইডি ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা ব্যাপক বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ খরচও কমে আসবে। তিনি আরো জানান, ওয়ালটন আগামি বছর বাজারে নিয়ে আসছে কোয়ান্টাম ডট ডিসপ্লে। যা দিয়ে গ্রাহকরা গতানুগতিক ডিস-ক্যাবলের মাধ্যমেও হাই ডায়নামিক রেঞ্জের ছবি দেখতে পাবেন।

ওয়ালটনের মেকানিক্যাল ডিজাইন বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান, তারা বিশ্বের লেটেস্ট ’জিরো বেজেল ডিসপ্লে’-এর মতো এক যুগান্তকারী ধারণা নিয়ে কাজ করছে। যেগুলো আগামি বছরেই উৎপাদন ও বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
ওয়ালটন সূত্রমতে, এলইডি প্যানেল উৎপাদনের জন্য নির্মাণাধীন এই কারখানায় বিপুল পরিমান টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশে এলইডি প্যানেল ও ব্যাকলাইটের মতো হাই-টেক কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে দেশের চলমান শিল্পোন্নয়ন প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হবে। সেইসঙ্গে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনে এলইডি টিভির প্লাস্টিক কেবিনেট, স্পীকার, রিমোট কন্ট্রোল ইউনিট, মাদার বোর্ড, ইলেকট্রিক পাওয়ার ক্যাবল এবং প্যানেল প্রডাকশনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে পৃথক ম্যানুফাকচারিং লাইন। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন শুরুর পর থেকেই ওয়ালটন এলইডি টিভির প্রতি গ্রাহকদের চাহিদা ও আস্থা ব্যাপক বেড়েছে। আর চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় কমছে টেলিভিশনের উৎপাদন খরচ। যার সুফল গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চলতি বছরে এলইডি টিভির দাম কয়েক দফা কমিয়েছে ওয়ালটন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top