সকল মেনু

যৌথ নৌ-মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও চীন

3-12-290x163হটনিউজ২৪বিডি.কম : প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে আগামী শুক্রবার থেকে বিশাল এক যৌথ নৌ-মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ভারত। তবে মহড়াস্থল ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ যে জাপানী দ্বীপের কাছে ওই মহড়া হবে তাকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন।

দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তৃত করতে চীন একদিকে যেমন বদ্ধপরিকর, তেমনই প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করে বেইজিংকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন এবং টোকিও।

মূলত ‘মালাবার’ নামের এই নৌ-মহড়ায় ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছরই অংশ নিচ্ছে ভারত ও মার্কিন নৌ-বাহিনী। এবার জাপানও যোগ দিচ্ছে। জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য হবে সাবমেরিন-বিধ্বংসী এবং বিমান-বিধ্বংসী রণকৌশলে পারদর্শী হওয়া।

অবশ্য মহড়ায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে, এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মার্কিন সেনা রয়েছে জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের নীকটবর্তী দ্বীপপুঞ্জগুলোতে। এর ফলেই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চীন যাতে বেশিদূর যেতে না পারে সেজন্যই সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে মার্কিন নৌ-বাহিনী।
পাশাপাশি ওই দ্বীপপুঞ্জে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক রাডার স্টেশনও বসিয়েছে জাপান। তাইওয়ানের ২২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই জনমানবহীন দ্বীপপুঞ্জকে জাপানিরা বলে সেনকাকু। অন্যদিকে চীনও এই দ্বীপপুঞ্জের ওপর দখল দাবি করে আসছে। তারা এই জায়গাটিকে দিয়াওয়ু নামে ডাকে।

মঙ্গলবার দক্ষিণ চীন সাগরে যাতে শান্তি বজায় থাকে সেইজন্য বিতর্কিত অঞ্চলে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নজর দিতে বলেছে চীন।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকা নিজেদের বলে দাবি জানিয়ে আসছে চীন। প্রতিবছর এই অঞ্চল দিয়ে পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য চলাচল করে। ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ান সবাই এই সাগরের ওপর দাবি জানিয়ে আসছে। চীন বাদে বাকি সবার সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের গভীর সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top