সকল মেনু

সুন্দরবনের ৪ হাজার পাখি উদ্ধার

9নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২ জুন : পাচারের উদ্দেশে সুন্দরবন থেকে ধরে আনা মুনিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় চার হাজার পাখি উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারের আব্দুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা পাখির মধ্যে মুনিয়া, টিয়া ও ঘুঘু রয়েছে। এর মধ্যে মুনিয়া পাখিই রয়েছে আড়াই হাজারের বেশি। উদ্ধার কালে প্রায় এক হাজার পাখি উড়ে গেছে। পাখিগুলো সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হচ্ছে।

তবে এ সময়ে শিকার বা পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে বাধাল বাজার এলাকার আব্দুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তার বাড়ির একটি ঘরে মশারি ও খাঁচার ভেতরে হাজার হাজার পাখি দেখতে পাই। পাখিগুলো আমাদের হেফাজতে নেওয়ার সময় প্রায় এক হাজার পাখি উড়ে যায়। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আগেই শিকারীরা পালিয়ে গেছেন।

পাখিগুলো সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পাখিগুলোর বসবাস সুন্দরবনে। শিকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এসব পাখি সুন্দরবন থেকে শিকার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রায় এক বছর আগে বাধাল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের বাড়ি ভাড়া নেয় রুহুল আমিন (৩৮) নামে এক ব্যক্তি। রুহুল আমিন সুন্দরবন থেকে পাখি শিকার করে এই বাড়িতে রেখে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। চক্রটিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, মুনিয়া, টিয়া ও ঘুঘু পাখি সাধারণত সুন্দরবনের গহীনে বিচরণ করে। শিকারীরা এসব পাখি শিকার করায় দিন দিন তা কমে যাচ্ছে। এই চক্রটিকে শনাক্ত করে আইনে আওতায় আনার চেষ্টা করছি আমরা।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top