সকল মেনু

১১ দূতাবাসের দুর্নীতির নথিপত্র তলব

 নিজস্ব প্রতিবেদক :dudok1463921667 বিদেশে বাংলাদেশের ১১ দূতাবাসে অফিসগুলোর দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যেসব মিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করা হয়েছে তা হলো-মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, কানাডা এবং ফিলিপাইন। দুদকের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট দূতাবাস-হাইকমিশন, কনস্যুলেট জেনারেল, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানে রোববার দূতাবাস অডিট অধিপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

চিঠিতে ওই দূতাবাসের ২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত সম্পাদিত অডিট ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র আগামী ৩০ মে’র মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অভিযোগে বর্তমানে ব্রাজিলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েসের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে।

দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এইসব দেশে অবিস্থিত বাংলাদেশি মিশন, দূতাবাস-হাইকমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এবং কনস্যুলেট জেনারেল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্য কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে মিজারুল কায়েসের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র সচিব থাকাকালে মন্ত্রণালয় থেকে দু’ই দফায় কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ফিলিপাইনে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাজেদা রফিকুন্নেসা ও তুরস্কে বাংলাদেশের প্রাক্তন হাইকমিশনার সুপ্রদীপ চাকমার (বর্তমানে ম্যাক্সিকোতে কর্মরত) বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

যদিও ম্যানিলা দূতাবাসে মালি ও ক্লিনারের বেতনসহ ৭ লাখ ৪২ হাজার ৫৩২ টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে ২০১২ সালে দুটি মামলা দায়ের করেছিল দুদক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন মহাপরিচালক মাজেদা রফিকুন নেসা ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিপরীতে যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গত ১৯ মে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। আর অনুসন্ধানের স্বার্থেই রোববার দূতাবাস অডিট অধিপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top