সকল মেনু

আফতাব উদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি ও আজীবন সম্মাননা

 ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতি বছindexরের মতো এবারো আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হলো আফতাব উদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি ও সম্মাণনা। এবার বৃত্তি পেলো ১৬ কৃতি শিক্ষার্থী এবং আজীবন সম্মাণনা পান দুই শিক্ষক। আফতাব উদ্দিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শহীদ শামসুল হক পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ উপলক্ষে সোমবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আফতাব উদ্দিন ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান। প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হুছাইন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান খান, যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক গোপেন্দ মোহন সাহা ও মো. আহসান উদ্দিন মিঞা, নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শম্ভুনাথ সাহা এবং স্থানীয় সুধীজনেরা। সভাপতিত্ব করেন বাড়ীগ্রাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও নাগরপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আলমাছ উদ্দিন।এবার দুজন গুণী শিক্ষককে আজীবন সম্মাননা, যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা স্মারক এবং স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। ছলিমাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম এবং দপ্তিয়ার নজীর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মো. দানেজ আলীকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয় যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী খন্দকার শামীম হাসান ও মো. লিয়াকত খানকে। প্রত্যেককে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
প্রতি বছর আফতাব উদ্দিন ফাউন্ডেশন স্মৃতি বৃত্তি ও আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়। সোমবার চতুর্থ বারের মতো এ আয়োজন করা হয়।
টাঙ্গাইলে নাগরপুরের যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং শিক্ষার সার্বিক শিক্ষা উন্নয়নে প্রতি বছর দেওয়া হচ্ছে স্মৃতি বৃত্তি ও আজীবন সম্মাননা। টাঙ্গাইলের প্রতীতযশা শিক্ষক হিসেবে আফতাব উদ্দিন জীবদ্দশায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। দীর্ঘ ৪২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে মাধ্যমিক স্তরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন তিনি।
আফতাব উদ্দিন ফাউন্ডেশন এই গুণী শিক্ষকের মহান আদর্শ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মহতী উদ্যোগ হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top