সকল মেনু

বজলুর রহমান ছিলেন এনসাইক্লোপিডিয়া

৭.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৪ এপ্রিল : সাংবাদিক বজলুর রহমান ছিলেন প্রখর মেধাদীপ্ত। ইতিহাসের যেকোনো কিছু তিনি মুহূর্তেই বলতে পারতেন। অনেকটা এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো। আমরা স্কুলের ছাত্রী থাকার সময় তার কাছ থেকে রবীন্দ্র সংগীতের তালিকা নিতাম।

প্রখ্যাত সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের সম্পাদক বজলুর রহমান সম্পর্কে এভাবেই মূল্যায়ন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রোববার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতি বছর এ স্মৃতিপদক দিয়ে আসছে।

স্পিকার বলেন, সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ বজলুর রহমান সারাজীবন বস্তুনিষ্ঠ ও দ্বায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করতেন।

ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার বজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে জনমত সৃষ্টি করেন। সাংবাদিকতাকে অবলম্বন করে গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, তিনি অাফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব নিয়ে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। তিনি নিজের কাজের প্রচার করতেন না, মানুষের মাঝে থাকতে ভালবাসতেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য সংবাদপত্র মাধ্যমে পুরস্কৃত হন গাজীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণমুখের স্টাফ রিপোর্টার ইজাজ অাহমেদ মিলন এবং ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুরস্কৃত হন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিবেদক মৌমিতা জান্নাত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জুরিবোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক অা অা ম স অারেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অারো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, জিয়াউদ্দিন তারেক অালী, জুরি বোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী খান ও মেজর (অব.) এ এস এম সামছুর অারেফিন।
অনুষ্ঠানে অারো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top