সকল মেনু

রাবিতে নানা অজুহাতে গাছ ধ্বংস করার অভিযোগ

১২.

নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৩১ মার্চ : রাবিতে নানা অজুহাতে ধ্বংস করা হচ্ছে গাছ। আর এতে পরিবেশ হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, মতিহারের সবুজ চত্বরখ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুত্ ব্যবস্থা সচল রাখা, সৌন্দর্যবর্ধন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার অজুহাতে সবুজ প্রকৃতিকে ধ্বংস করতে মেতে ওঠে রাবি প্রশাসন। ২০১৪ সালে ঈদুল আযহার ছুটিতে শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে গেলে ঈদের পরদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের পঞ্চাশ বছরের একটি পুরনো আমগাছ চুপিসারে কেটে বিক্রি করা হয়। এর কয়েকদিন পর হল খুললে বিষয়টি জানতে পারেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার অজুহাত ও হলের আর্থিক সংকট মেটাতে রাবি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষ এ গাছ কাটেন। তবে বিধি অনুযায়ী কৃষি প্রকল্পকে জানানোর কথা থাকলেও তা মানা হয়নি।

২০১৪ সালের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে বেশকিছু গাছ সৌন্দর্যবর্ধন ও বিল্ডিং নির্মাণ কাজের সুবিধার অজুহাতে সবগুলো গাছ কেটে ফেলে প্রশাসন। এসব গাছ কাটার পর রাস্তার উপর পাখির বাসা, ডিম ও সদ্য জন্ম নেয়া মরা বাচ্চা শিক্ষার্থীদের জুতা-স্যান্ডেলের তলায় দলিত হতে দেখা যায়। আগে গাছের ছায়ায় শিক্ষার্থীদের সময় কাটাতে দেখা গেলেও এখন তা বিরল।

এরপর ২০১৫ সালের ২২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রক্ষা ও বিদ্যুত্ লাইন রক্ষার অজুহাতে মসজিদ সীমানার মধ্যে থাকা একটি গগন শিরীষ গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় রাবি প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের বাধায় ওই গাছ কাটা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।

সমপ্রতি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামের পূর্বপাশের বহুমূল্যের তিনটি পুরাতন বাবলা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর আগে ওই স্থান গাছে পরিপূর্ণ থাকলেও এখন আর নেই। চোখে পড়ে শুধু ফাঁকা মাঠ। ২০১৪ ও ১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাবি প্রশাসন বেশ কয়েকটি গাছ কেটে নেয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। ঝড় ও রাবি প্রশাসনের আক্রমণে ওই জায়গাটি এখন ধুধু মাঠে পরিণত হয়েছে। এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়কে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলেও আবাসস্থল না থাকায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পাখি। অপ্রয়োজনে কোনো গাছ কাটা হয় না উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. এমরান আলী বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে সব গাছ কাটা হয়। গাছ কাটায় ফাঁকা হওয়া এসব স্থানে পরবর্তীতে গাছ লাগানো হবে। আদৌ গাছ লাগানো হয় কিনা তা জানতে চাইলে ‘প্রতিবছর ক্যাম্পাসে দুই থেকে আড়াই হাজার গাছ লাগানো হয়’ বলে দাবি করেন তিনি।

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির সভাপতি ও ভিসি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, গাছ লাগানোর জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পুরষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে যে সব স্থানে গাছ কাটা হচ্ছে সেখানে কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে আরো গাছ লাগানো হবে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top