সকল মেনু

বাঘ বাঁচাতে এখনই সময় :মার্কিন রাষ্ট্রদূত

৪৩.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৯ মার্চ :  মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশের সুন্দরবনের বাঘ বাঁচানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ দেশের সরকারের সাথে যুক্ত হতে পেরে খুবই আনন্দিত। সুন্দরবনই হচ্ছে বেঙ্গল টাইগারের একমাত্র বাসস্থান। এখানকার বাঘ বাঁচানোর জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি গত মঙ্গলবার সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার জন্য জাতীয় সংলাপের উদ্বোধনী দিনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

ইউএসএআইডি’র বাঘ প্রকল্পের সুন্দরবনে পর্যটন জাহাজ ‘টাঙ্গুয়ার হাওর’-এ দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ সংলাপ আজ বুধবার পর্যন্ত চলবে। সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি। আন্যান্যের মধ্যে আংশ নেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. ইয়াহিয়া চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী, ইউএসএআইডি’র বাঘ প্রকল্পের টিম প্রধান গ্যারি কলিন্স।

রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট আরো বলেন, সুন্দরবনের বাঘের নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে একশ’র উপরে বাঘ রয়েছে। এবিষয়টি সমন্বিত পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এদেশের জাতীয় শৌর্যের প্রতীক বাঘকে বাঁচাতে স্থানীয় জনসাধারণকে যুক্ত করতে হবে। একাজে এখানকার সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বা সহযোগিতার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। এক্ষেত্রে আমাদের সফলতা হচ্ছে বাঘ রক্ষায় সম্পৃক্তদের এক জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচনের পরিবেশ ও গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এদেশে নির্বাচনকালীন সহিংসতা কমে আসায় আমরা সন্তুষ্ট, যা ইতিবাচকও।

সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার জন্য জাতীয় সংলাপের প্রধান অতিথি পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, সরকার সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার কাজে পূর্ব থেকেই চলমান তিন ধাপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় সুন্দরবনের বাঘ রক্ষা পাবে। কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ইত্যাদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন শাখাকে সমন্বয় করে সুন্দরবন সুরক্ষায় আমরা ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সুন্দরবনকে রক্ষার ক্ষেত্রে সফল হতেই হবে। সুন্দরবনে এখন আর আগের মত সম্পদ ধ্বংস হয় না। গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে, গোলপাতা আহরণ ও মাছধরা সীমিত হয়েছে। মাছ আহরণ বন্ধেরও চিন্তা-ভাবনা চলছে। একসময় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জ্বালানি কাঠের উত্স ছিল সুন্দরবন এখন আর তা নেই। মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে।

ইউএসএআইডি’র বাঘ রক্ষা প্রকল্পের এই জাতীয় সংলাপে অংশ নেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। দু’দিনব্যাপী সুন্দরবনে অনুষ্ঠিত বাঘ রক্ষা প্রকল্পের জাতীয় সংলাপে বাঘের আবাসস্থল, খাদ্যাভ্যাস, প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধি, বাঘসহ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী পাচার রোধ, বাঘ রক্ষায় টহল জোরদার, টহল টিমের প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, জিপিএস ডাটাবেজ তৈরি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে। কর্মসূচিতে বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রোলিং, টাইগার টিম ইত্যাদি সহযোগী কর্মকাণ্ড বিষয়ও আলোচনা হচ্ছে।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top