নগরকান্দা থেকে লিয়াকত হোসেন,ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলশূতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামের এক কৃষক জিরা চাষ করে এলাকায় হৈচৈ ও আলোচনার ঝড় তুলেছে। দুর দুরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক শ্রেণীর লোকই শখের বসত আসে এই জিরা ক্ষেত দেখতে। প্রায় ৩৩ শতাংশ জমি নিয়ে জিরার আবাদ হয়েছে, কথা হয় কৃষক আকরামের সাথে, সে জানায় ইন্ডিয়া থেকে ইরানী জাতের এই জিরার বীজ এনেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী ক্ষেতে বুনিয়েছি। চার ফুট উচু জিরার গাছ গুলি, হলুদ রংঙ্গের ফুল, পাতা গুলি দেখতে ঝাউগাছের পাতার মতো। গরিব এই কৃষকের প্রায় ৬৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে জিরা ক্ষেতে। ক্ষেতের চারপাশ দিয়ে সুন্দর করে ঢেঁকে দিয়েছে যাহাতে কোন কিছুতে বিনষ্ঠ করতে না পারে। কৃষক অনেক আশা নিয়ে বুক বেঁধে আছে কবে নাগাদ এ ফসল ঘরে উঠবে এবং বিক্রি করে পরিবারের চাহিদা মিটাবে। এই মশলার পিছনে যে টাকা ব্যয় হয়েছে সে বিনিয়োগ ঘরে তুলতে পারবে কিনা এই চিন্তায় কৃষক দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশুতোষ বলেন, আমি আমার ফুলশূতি ইউনিয়নের কৃষি সুপার ভাইজার এর নিকট বিষয়টি জেনেছি- সলিথা গ্রামের একজন চাষী এই জিরার চাষ করেছে। কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান সাধারণত জিরার ফুল কখনও হলুদ হয় না এটা জিরা না ইরা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব না। তবে ইরাটা ও দেখতে জিরার মতো এটা এক ধরনের মসলা। কৃষি কর্মকর্তার দ্বিমত বক্ত্যবে কৃষক এখন দিশেহারা অনেক টাকা ব্যয় করেছি ক্ষেতে না জানি কোন ধরনের ফসল হয়। কৃষকের আশা এই ফসল বিক্রি করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে ও প্রতি বছর জিরা চাষ করে নিজে স্বাবলম্ভী হবেন অন্যকে জিরার চাষ করার উদ্ভদ্ব করবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।