সকল মেনু

চাঁদপুরে ট্রলারডুবি: লাশ বাড়ছে উদ্ধার ৭

download শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাইমচরে ট্রলারডুবির ঘটনায় সোমবার আরো তিন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হল। আর সব লাশই উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। তারা হাইমচরের শেষ সীমানা বরিশালের কালীগঞ্জ ও এর আশ-পাশের এলাকায় লাশগুলো ভাসতে দেখে উদ্ধার করে হাইমচর নিয়ে আসে। পরে তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সোমবার দুপুরে বরিশালের হিজলা এলাকায় মেঘনা নদী থেকে স্থানীয় লোকজন তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ৩ বছরের এক অজ্ঞাত শিশু, আহমদ উল্যা শিকদার (৪০) ও নাগরিস (২৭) রয়েছে। নাগরিস হাইমচরের ঈশানবালা এলাকার শাহ আলমের স্ত্রী ও আহমদ উল্যাও একই এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
হাইমচর থানার এস আই আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় সোমবার দুপুরে বরিশালের হিজলা এলাকা থেকে আরো তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে রোববার ৩ শিশুসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা হলো : জামাল বেপারীর ছেলে ফাহিম (দেড় বছর), মোস্তফা মৃধার ছেলে মানিক (৪), সালাহউদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া (২৬) ও মেয়ে স্বর্ণা (৮)। এদের মধ্যে ফাহিমকে বরিশালের হিজলা এলাকা থেকে এবং অপর ৩ জনকে হাইমচরের চরভৈরবী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ট্রলার দুর্ঘটনায় ৩ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। এরা হলেন : মোস্তফা মৃধার ছেলে রতন (২), শাহ আলমের মেয়ে শাহজাদী (৭), সালাহউদ্দিন ছেলে সিয়াম (৪)।
গত মঙ্গলবার সকালে হাইমচরে তেলিরমোড় এলাকা থেকে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ‘এম ভি রবিন’ নামের ট্রলারটি ঈশানবালার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে মেঘনার মাঝ নদীতে ঘনকুয়াশায় ট্রলারটি একটি মালবাহি জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা যাত্রীরা সাঁতরে নদীতীরে উঠতে পারলেও ১০ যাত্রী নিখোঁজ থাকে। দুর্ঘটনার পর দু’দিন চেষ্টার পর নদীতে কোন লাশ না পেয়ে এবং ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার ছাড়াই প্রশাসন উদ্ধার অভিযান পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে। অথচ স্থানীয় ডুবরীরা রোববার ট্রলারটিও সনাক্ত করে এর আশপাশ থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top