সকল মেনু

সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে চিনি-রসুনের দাম

1454070361অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৩০ জানুয়ারী : শীতের সবজির কারণে কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে বেড়েছে চিনি ও রসুনের দাম।

গত সপ্তাহে বড় আকারের একটি ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। কিন্তু শুক্রবার সেটা বিক্রি হচ্ছিল ১৫/২০ টাকায়। এছাড়াও মাস দুয়েক আগের পেঁয়াজের সেই ঝাঁজও আর নেই। রাজধানীর কাওরানবাজার ও নিউমার্কেটসহ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া যায়।

আজ বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে বেগুন জাতভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শালগম ২০ থেকে ২২ টাকা, ফুলকটি, বাঁধাকটি আকারভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা, কাঁচামরিচ বাজারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, সিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ ( আমদানিকৃত ও দেশি) ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে সবজিতে স্বস্তি থাকলেও বেড়েছে চিনি, রসুনের দাম। এছাড়া ভোজ্যতেলের লিটারে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, চিনি আমদানিতে শুল্কারোপ করায় খোলা বাজারে বাড়তি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ট্যারিফ মূল্য বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে বর্তমানে বাজারে যে চিনি বিক্রি হচ্ছে তা আগের আমদানি করা বলে অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।

চিনির পাশাপাশি দাম বেড়েছে রসুনের। বাজারে দেশি রসুন মানভেদে প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহে ছিল প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। তবে আমদানিকৃত রসুন আগের সপ্তাহের দর প্রতি কেজি ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

দেশি রসুনের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কাওরানবাজারে পাইকারি রসুন বিক্রেতা করিম উদ্দিন জানান, দেশে দেশি রসুনের মজুদ কমে এসেছে। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ফেব্রয়ারিতে নতুন রসুন বাজারে উঠলে দাম কমে যাবে।

এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ভেজেটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। ।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন কোম্পানিভেদে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৬০ টাকা। যা এক মাসের ব্যবধানে ৫ লিটারের বোতলে মাত্র ১০ টাকা কম। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৮৩ থেকে ৮৫ টাকা লিটার।

এ প্রসঙ্গে নিউমার্কেটের তেল ব্যবসায়ী বেলায়েত বলেন, দাম কমার পর নতুন তেল এখনো দোকানে তোলা হয়নি। নতুন তেল তোলা হলে কম দামে বিক্রি করা হবে।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top