সকল মেনু

ষাটের দশক ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

1453655498নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৫ জানুয়ারী :  ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, ‘ষাটের দশক ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ঐ আন্দোলনের আসল নায়ক জনসাধারণ। যাদের নাম ইতিহাসে মনে রাখা হয় না। কিন্তু সেটি আমাদের সোনালী অধ্যায়। ঐ সময়টিতে আমরা জাতীয়তাবাদ ও সাংস্কৃতিক জাগরণসহ সার্বিক জাগরণ পেয়েছি যা ছাত্রনেতাদের কৃতিত্ব। কারণ তারা ঐক্য গড়েছিলেন, যা পরে জাতীয় ঐক্যে পরিণত হয়।’

২৪ জানুয়ারি ছিলো ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান দিবসের ৪৭তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে শেখর দত্ত রচিত  ‘ষাটের দশকের গণজাগরণ ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা নির্ভর বইএর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সমাজ বিকাশ প্রকাশনী।

গতকাল বিকেলে মনি সিংহ- ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনের ছাদে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সামসুদ্দোহা, ঊনসত্তরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের ট্রাস্টি মুকুল চৌধুরী ও মাহবুব জামান। প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঊনসত্তরের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর কবি শামসুর রাহমানের ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন অনন্যা গোস্বামী।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মনে আছে ঊনসত্তরের আন্দোলনের সময় নিজের নাম-ঠিকানা কাগজে লিখে পকেটে রাখতাম। কারণ সর্বদা মৃত্যুকে সঙ্গী করেই ঘুরতে হতো। ঊনসত্তরের গণআন্দোলন ছিলো তেমনি একটা উত্তাল সময়। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে আজ (গতকাল) ২৪ জানুয়ারি দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারন এই দিনেই আইয়ুব খানের পতনের বীজ বপিত হয়। এই আন্দোলনের পথ বেয়েই আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আজকের এই দিনে আসাদ, সার্জেন্ট জহুরুল হক, মতিউর, মুকবুল, রুস্তম, আলমগীরসহ ঊনসত্তরের সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’

বইটির লেখক শেখর দত্ত তার অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার নানা জায়গায় ঘুরেছি। কিন্তু দেখলাম ষাটের দশকের গণআন্দোলনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কোন ধারণা নেই। সে কারনে বইটি লেখার প্রতি উদ্বুদ্ধ হই। বইটি বঙ্গবন্ধুসহ সে সময়ের সকল নেতৃবৃন্দকে উৎসর্গ করা হয়েছে। আমি দরদ দিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। সকলের সহযোগিতা সাপেক্ষে পরবর্তী সংস্করনে তা সংশোধন করা হবে। এখন যে অবস্থা তাতে আরেকটা গণজাগরনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি।’

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top