সকল মেনু

সম্প্রীতির উৎসবে বর্নিল হোক শারদীয় উৎসব—মেয়র লিটন

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধিঃ ধর্ম যার যার উৎসব সবার এ প্রত্যয় ব্যাক্ত করে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমি আপনাদের ভালবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই। আমি আপানাদের সাথে মিলে মিশে একসাথে সকলের সুখে দুঃখে থাকতে চাই। কোন অশুভ শক্তিকে প্রশ্রয় না দিয়ে আমরা শুভ শক্তি নিয়ে ভাবব, অন্যায়কে অন্যায় ন্যায়কে ন্যায় বলতে কোন প্রকার পিছপা হবনা । আমাদের হিন্দু মুসলমান কোন সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ না রেখে সকলে মানুষ হিসাবে একসাথে কাজ করতে চাই।পৃথীবির সবথেকে বড় ধর্ম হচ্ছে মানব ধর্ম। তাই সম্প্রীতির উৎসবে বর্নিল হোক শারদীয় উৎসব । কথাগুলি বললেন শার্শা উপজেলা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মের নেতৃবৃন্দের সাথে মন্ডপে অনুদান ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠানে মেয়র লিটন।

রোববার বেলা সাড়ে ৪ টার সময় বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শার্শা উপজেলা সনাতন ধর্মালম্বীদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আহসান উল্লাহ মাষ্টারের সভাপতিত্বে মেয়র লিটন বলেন, আমি জাতির জনকের একজন কর্মী এবং তার আদর্শ বুকে লালন করি। সেই জাতির জনকের সময় হিন্দু মুসলমানরা ছিল গোড়া । কেউ কারো বাড়ি যেত না। সেই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের জন্য হিন্দু মুসলমান মিলে সংগঠন করলেন। কিন্তু হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ একসাথে সংগঠন মেনে নিতে রাজি না হলে তখন বঙ্গবন্ধু তাদের বুঝিয়ে ছিলেন আমাদের শুধু ধর্ম আলাদা করে রেখেছে। আসালে আমরা সকলে মানুষ। তাই পৃথিবীর সকল ধর্মের চেয়ে বড় ধর্ম হচ্ছে মানব ধর্ম। ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনে হিন্দু মুসলমান মিলে যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছে। তাই আমরা একই ভুখন্ডে একই রাষ্ট্রে বসবাস করে কোন পার্থক্য দেখতে চাই না। আমরা এমন আচারন যাতে না করি যে আমাদের আচার আচারনে কেউ ব্যাথিত না হয় । এ মাটি আমাদের সকলের । আর এ মাটি শুধু মুসলমানদের জন্য ফসল ফলায় না। এ মাটি সকল ধর্মের বর্নের মানুষের জন্য ফসল ফলায়। তাই কোন অশুভ শক্তি যেন আমাদের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে। আমরা যেন অত্যাচারী খুনী এবং মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি না খেলি । আমি মানুষকে ভালবাসি এবং সকলকে ভালবেসে মরতে চাই। আমি সনাতন ধর্মলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা সেই উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। আমার সাধ অনেক কিন্তু সাধ্য সামর্থ স্বল্প । তাই আমি আপানাদের ৩০ টি পূজা মন্ডপে সামান্য কিছু অনুদান দিয়ে উৎসবে অংশগ্রহন করতে চাই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আসিফ উদ দৌলা সরদার অলোক, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, সিনিয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বদিয়ার রহমান তরফদার, শার্শা উপজেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের নেতা আমিনুর রহমান, শার্শা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শান্তিপাদ বিশ^াস,সাধারন সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ দাস, বেনাপোল পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শান্তিপদ গাঙ্গুলী, বাগআচড়া পুজা মন্ডপের সভাপতি গোবন্দ চ্যাটার্জি।উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি পরিতোষ সরকার,বেনাপোল পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক উজ্জল বিশ্বাস, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব সিংহ। নেতৃবৃন্দর বক্তব্য শেষে সকল পূজা মন্ডপের সভাপতি সম্পাদকের কাছে ৫০০০ হাজার টাকা নগদ নিজ তহবিল থেকে তুলে দেন মেয়র লিটন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top