সকল মেনু

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

আত্মহননকারীরা হলেন- মুমতাহেনা আফরোজ ও রোকনুজ্জামান রোকন।

উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের (মাস্টার্স) শিক্ষার্থী ছিলেন।

সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় প্রথমে গলায় ফাঁসি দিয়ে মুমতাহেনা আত্মহত্যা করেন। পরে প্রেমিকার মৃত্যুর খবর শুনে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে রোকনও আত্মহত্যা করেন।

নিহত মুমতাহেনার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বালিয়াখালী গ্রামে। রোকনুজ্জামানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানায়।

পরিবার ও সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, রোকন ও মুমতাহেনা মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ করে ইন্টার্ন শিফট করছিলেন। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

পারিবারিকভাবে হেনাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল। পরে পরিবারের সদস্যদের রোকনের বিষয়ে জানানো হলে তারা এ সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

একই সঙ্গে গত তিন দিন ধরে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। এতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন ঘটে।

ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে হেনা তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেনা তার নিজ কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।

পরে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ মেডিকেলে নেয়া হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, মুমতাহেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ এমদাদুল হক জানান, মেয়েটির আত্মহত্যার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে মুমতাহেনার মৃত্যুর খবর শুনে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন রোকন।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোকনুজ্জামানের মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের মতি মিয়া রেলগেট থেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জিআরপি থানা পুলিশ।

একই সঙ্গে মুমতাহেনার লাশও সাতক্ষীরায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top