সকল মেনু

রঙিন সাজে শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে মুখরিত পূজামণ্ডপ

হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু আজ
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু আজ

১৯ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ : রাজধানীসহ সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোকে সাজানো হয়েছে রঙিন সাজে।ঘরে ঘরে বইতে শুরু করেছে আনন্দের বন্যা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু আজ। গতকাল বোধন শেষে ষষ্ঠী তিথির সূচনা হয়েছে।

আজ কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সেই অনুযায়ী আজ থেকেই দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। মন্দিরে মন্দিরে আর পূজামণ্ডপে ঢাকের বোল, মন্ত্র ও চন্ডীপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে কেঁপে উঠবে প্রতিটি পূজামণ্ডপ।

উৎসব-আনন্দে মেতে উঠবে শিশু-কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। বাহারি পোশাক আর অঙ্গসজ্জায় নিজেদের সাজিয়ে রাঙিয়ে তারা মন্দিরে মণ্ডপে ভিড় করবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া তথ্যমতে এবার সারা দেশে ২৯ হাজার ৭৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানীতে এ সংখ্যা ২২২টি।

উৎসবকে রঙিন করতে চলছে শেষ মুহূর্তের আয়োজন। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ভক্তিমূলক গান, আরতিসহ নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানমালার। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশম দিন অবধি পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব হয়।

এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। আবার সমগ্র পক্ষটি দেবীপক্ষ। এ পক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন। এই দিনটি মহালয়া।

অন্যদিকে দেবীপক্ষের সমাপ্তি পঞ্চদশ দিন পূর্ণিমায়। এই দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত ও বাৎসরিক লক্ষ্মীপূজার দিন। দুর্গাপূজা মূলত পাঁচদিনের অনুষ্ঠান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উৎসবের সূচনা ও কোজাগরি লক্ষ্মীপূজায় এর সমাপ্তি।

এদিকে গতকাল সায়ংকালে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল থেকে রাত অব্দি প্রতিটি মণ্ডপে মন্ত্র ও চন্ডীপাঠ, পূজার্চনা ও প্রসাদ বিতরণ চলে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ষষ্ঠীবিহিত পূজা। সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। অতঃপর আগামীকাল ২০শে অক্টোবর মহাসপ্তমী।

কাল মহাসপ্তমীর প্রভাতে নবপত্রিকা প্রবেশ ও ঢাক-ঢোলক-কাঁসর বাজিয়ে কলাবউ স্নান ও আদরিণী উমার সপরিবারে তিথি বিহিত পূজা শেষে সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

২১শে অক্টোবর মহা অষ্টমীর দিন সকালে কুমারীপূজা ও রাতে সন্ধিপূজা। ২২শে অক্টোবর মহানবমী, বিজয়া দশমী ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top