সকল মেনু

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ হাজার পরিবার বাড়ি পাবে

পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল -ফাইল ফটো
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল -ফাইল ফটো

ঢাকা, ১৭ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বা বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ হাজার পরিবার একটি বিশেষ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ঘরবাড়ি এবং আর্থিক সহায়তা পেতে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায়, সরকার জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় দেশের খাস জমিতে দ্বিতীয় ধাপে ‘গুচ্ছ গ্রাম’ প্রতিষ্ঠা করবে। যা হবে পরিবেশ বান্ধব।
এ ব্যাপারে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, যদিও প্রকল্পটি সারা দেশের জন্যই, তথাপিও রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তথ্য-উপাত্ত হালনাগাদের মাধ্যমে জেলা ভিত্তিক ভূমিহীন জনসংখ্যা ও বরাদ্দযোগ্য জমির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দারিদ্রের মানচিত্র অনুসারেই প্রকল্প এলাকা চিহ্নিত করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে (১৯৭২-৭৫) প্রথম এ ধরনের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। জাতির পিতা বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের ১ হাজার ৪৭০ টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছিলেন।
পরবর্তিতে বিভিন্ন সরকারের সময় বিষয়টি ততটা গূরুত্ব পায়নি। তবে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বিষয়টি আবারও গুরুত্ব লাভ করে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে পুনর্বাসিত প্রত্যেকটি পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
গুচ্ছগ্রামের প্রত্যেকটি বাড়ির জন্য আরসিসি পিলার করা ৩০০ বর্গফুট জায়গা এবং একটি পাঁচ চাকার স্যানিটারি ল্যাট্রিন দেওয়া হবে। সব গুচ্ছগ্রামে একটি করে বহুমুখী মিলনায়তন থাকবে। এছাড়াও থাকবে- নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, বিদ্যালয়, বাজার, চিকিৎসা ব্যবস্থা। মূলত যেসব এলাকায় সরকারি জমি সহজলভ্য, সেখানেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০০৯ সালে সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার ৬৫০ মানুষকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়। এর আগে ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ২৫ হাজার ৩৮৫ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।-বাসস

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top