সকল মেনু

নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছেন নগরবাসী

নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছেন নগরবাসী
নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছেন নগরবাসী

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : আজ মঙ্গলবার রাজাধানীর গাবতলী বাসটার্মিনাল, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, কমলাপুর, মহাখালীর বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদ আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছেন নগরবাসী। ঢাকা থেকে সড়ক পথে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন লাখো মানুষ। ঈদযাত্রার শুরু থেকে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হয়েও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ছুটে চলেছেন এসব মানুষ। তীব্র যানজটে ঢাকার ভেতরে আটকে থাকতে হয় কয়েক ঘণ্টা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আগাম টিকিট সংগ্রহকারীদের কাঙ্ক্ষিত যানবাহনে উঠতে আরো সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এত দুর্ভোগের পরেও ঘরমুখো মানুষের চোখেমুখে ছিল স্বজনদের কাছে যাওয়ার আনন্দ। এবার ঈদ যাত্রার প্রথম দিনগুলোতে তেমন সিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। বেশিরভাগ বাস, নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস আগামীকাল বুধবার। তাই আজ যারা ছুটি পেয়েছেন তারা কালকে বেশি চাপ হওয়ার আশঙ্কায় ঢাকা ত্যাগ করছেন।
বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, চেয়ার ও বিলাসবহুল বাসগুলোতে সিটের সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। তবে সেমিচেয়ার কোচগুলো ভেতর ও ছাদে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে হানিফ, সাকুরাসহ নামিদামি বেশ কিছু কোম্পানি ভাঙাচোরা গাড়িতেও যাত্রী বহন করছে।
রাজশাহীগামী যাত্রী মোহাম্মদ জহির হোসেন জানান, যানজটের কারণে রাজধানীর মালিবাগ থেকে গাবতলী পর্যন্ত কোনো সিএনজি আসতে রাজি হয়নি। অবশেষে ৪০০ টাকা ভাড়ায় একটি সিএনজি টেকনিক্যাল মোড় পর্যন্ত এসে নামিয়ে চলে গেছে। টেকনিক্যাল মোড় থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত যানজট থাকায় স্ত্রী, বাচ্চাসহ গাবতলী হেঁটে এসেছেন।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচলের চাপ বেশি থাকায় যানজটের মাত্রা একটু বেশি। এসব টার্মিনাল কেন্দ্রিক সিএনজি, প্রাইভেট কার ও লোকাল বাসের যাতায়াত বেড়ে যাওয়া ও দূরপাল্লার বাস ঘোরানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দূরপাল্লার বাসগুলোকে টার্মিনাল থেকে দূরবর্তী সিগন্যালে গাড়ি ঘোরাতে বলা হয়েছে।
টার্মিনাল ভবনের টিকিট কাউন্টারের পাশেই যাত্রীদের জন্য বেঞ্চ দেওয়া হয়েছে। বিশ্রামাগারে অতিরিক্ত চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া হানিফ, সাকুরা, নাবিল, সোহাগসহ কয়েকটি পরিবহণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করেছে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, অপ্রতুল ব্যবস্থার কারণে অনেক যাত্রীকেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ভোর থেকেই টেকনিক্যাল মোড় থেকে গাবতলী পর্যন্ত যানজট লেগেই ছিল। দূরপাল্লার বাস ঘোরানোর কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক বাস নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। তবে বেশ কিছু রুটে তাৎক্ষণিক টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top