সকল মেনু

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শ্রেণী শিক্ষা চলাকালীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে ধস

imagesনিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর:দশ বছর আগে পুনঃসংস্কার করা হামছাপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদের একটি অংশ সোমবার সকালে পাঠ্যক্রম চলাকলীন ধসে পড়েছে। ফরিদগঞ্জের গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রথম নির্মিত হয়। সোমবার ভবনটির ভিমের একটি অংশ ভেঙ্গে নিচে পড়ার সময় ক্লাসে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়। পরে তাৎক্ষণিক অন্য কক্ষে শিক্ষকরা ক্লাস চালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ছুটে এসে পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা পাটোয়ারী জানান, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর তা পুনরায় সংস্কার হয় ২০০৩ সালে। কিন্তু ১০ বছর না পেরোতেই বিদ্যালয়টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ছাদের পলেস্তরা ঝরে পড়া ছাড়াও ছাদের ভিম ও কলাম থেকে কিছু কিছু অংশ খসে পড়ছে। সর্বশেষ সোমবার সকালে ক্লাস চলাকালীন ছাদের একটি অংশ থেকে বড় পলেস্তরা খসে পড়ে। এ সময় ভাগ্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যায়। তিনি জানান, স্কুলের দৈন্যদশা তুলে ধরে ১ বছর আগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এছাড়া গত ক’দিন ধরে শিক্ষা অফিসকে নিয়মিত এ ব্যাপারে অবহিত করা হচ্ছে।

স্কুলের অভিভাবক মহিউদ্দিন পাটওয়ারী, মিলন চক্রবর্তী, বিল্লাল হোসেন, আহসান উল্যাসহ লোকজন জানান, বিদ্যালয়ের এই দুরাবস্থার কারণে তারা তাদের বাচ্চাদের ক্লাস করতে বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ঝড় বৃষ্টি এলেই শিশুদের বিদ্যালয়ে আসতে বারণ করেন। মহাসেনের সময় ভবনটি ধসে পড়ার আতঙ্কে ক্লাসে কেউই আসেনি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন মিজি জানান, নুতন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top