সকল মেনু

কলাপাড়ায় চার স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার শাহাবুদ্দিন দুই দিনের রিমান্ডে

images (6)নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া:গার্মেন্টসে কাজ দেয়ার কথা বলে অপহরনকালে চার কিশোরীকে উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত শাহাবুদ্দিনকে (২৮) দুই দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সোমবার কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন কুমার দাসের আদালত রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন। এঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত একই দিন উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে স্থানীয় লোকজন রাজ্জাক পন্ডিতের মেয়ে ফাতেমা, ইব্রাহিম হাওলাদারের মেয়ে লিজা, আমির হোসেনের মেয়ে রিপা ও জালাল আকনের মেয়ে পপিকে উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করে। প্রথম তিনজন পক্ষিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। আর পপি তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। এদের সবার বাড়ি মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মেলাপাড়া আদর্শগ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের আদালতের নির্দেশে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে এদের সবাইকে একই এলাকার শামসুল হকের ছেলে শাহাবুদ্দিন গার্মেন্টসে কাজ দেয়ার কথা বলে কলাপাড়ায় এনে একটি বাসে পটুয়াখালী পাঠিয়ে দেয়। শাহবুদ্দিনের এক সহযোগী অপর একটি বাসে পিছনে পটুয়াখালী যায় বলে উদ্ধার হওয়া ছাত্রীরা জানায়। চার ছাত্রী পটুয়াখালী গিয়ে বাস থেকে চৌরাস্তায় নেমে ভুলপথে মির্জাগঞ্জগামী সড়কে হাটতে থাকে। এসময় বৃষ্টি নামলে তারা সবাই একটি দোকানে প্রবেশ করে। সেখানে অপেক্ষা করতে থাকে। দোকানির এসময় তাদের কথাবার্তা শুনে সন্দেহ জাগে। তিনি পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশে খবর দেয়। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার উদ্ধার হওয়া ছাত্রীদের কথা শুনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোতা শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতারের জন্য কলাপাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু এর আগেই এলাকার লোকজন শনিবার বিকালে শাহাবুদ্দিনকে আটক করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হালিম জানান, আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। তবে একটি বড় ধরনের পাচারকারীচক্র এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top