সকল মেনু

দর্শক স্বল্পতার কারণে চলচ্চিত্রটি হল থেকে নামানো হয়নি

1452455319বিনোদন ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১১ জানুয়ারি :  সম্প্রতি মুক্তি পেল রিয়াজুল রিজু পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়োস্কপ’। মুক্তির আগে থেকেই বেশ আলোচিত ছিল এই চলচ্চিত্রটি। সমাজের বাস্তব প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তির পরে বেশ ভালো সাড়া ফেললেও ঢাকার অনেক হল থেকেই মুক্তির দু’দিন পর নামিয়ে দেয়া হয় চলচ্চিত্রটি। এ প্রসঙ্গ ও চলচ্চিত্রের অবস্থা নিয়ে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সাথে।

প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়োস্কপ’-এর কেমন দর্শক সাড়া পেলেন?

খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। যারা ছবিটি দেখতে হলে এসেছেন তারা মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন। দর্শক হলে এসে নিরাশ হননি। আসলে এই ধরনের সামাজিক গল্পের সিনেমা দেখতে আমাদের দেশের দর্শকরা খুব পছন্দ করেন। যদিও হল সংশ্লিষ্ট একটা শ্রেণি সিনেমাটির পোস্টারের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল। তাদের দাবি ছিল এই ধরনের সাদামাঠা পোস্টার হলে দর্শক টানতে পারবে না। কিন্তু দর্শকরা হলে সিনেমা দেখার মাধ্যমে সেই আপত্তির জবাব দিয়েছেন।

কিন্তু হলে ওঠার দু’দিনের মাথায় সিনেমাটি হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়, এর কারণ কী?

এটা সারাদেশের চিত্র নয়। ঢাকার বাইরের হলগুলোতে সিনেমাটি খুব ভালোভাবেই দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছে। ঢাকার মধ্যে দুই তিনটি হলে প্রচারের তিন দিনের মাথায় সিনেমাটি নামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দর্শক স্বল্পতার কারণে চলচ্চিত্রটি হল থেকে নামানো হয়নি। আমি বিষয়টি ভেবে দেখেছি, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে। একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমি কারও হিংসার স্বীকার হয়েছি।

হিংসার স্বীকার বিষয়টি একটু পরিষ্কার করে বলুন?

চলচ্চিত্রটি প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে পোস্টারিং করা হয়েছিল। কিন্তু পোস্টারিংয়ের দু-একদিন পরই সেই পোস্টারগুলো ছিড়ে ফেলা হয়েছে। কোথাও কোথাও পোস্টারের ওপরে পোস্টার লাগানো হয়েছে। যেটা ছবিটির প্রচারের জন্য একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। এছাড়া অদৃশ্য কারণে হল থেকে সিনেমাটি নামিয়ে দেয়াটা তারই অংশ ছিল।

আপনি তো টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন, সেখান থেকে পরিচালনায় এলেন কেন?

সিনেমা পরিচালনাটাই আমার মূল লক্ষ্যে। আমি মূলত সেই লক্ষ্যেই একটু একটু করে নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম। এর আগে বিজ্ঞাপন, নাটক, টেলিছবি ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছি। এই কাজগুলো ছিল প্রস্তুতিরই একটা অংশ। পাশাপাশি টেলিভিশনের চাকরি, যেখানে আমাকে প্রায় এগারো ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হতো। এদিকে পরিচালনার কাজটা শুরুর সব প্রস্তুতি অনেকটা গুছিয়ে এনেছি। কিন্তু টেলিভিশনের চাকরির সাথে সিনেমা পরিচালনার কাজটা সম্ভব ছিল না। যে কারণে টেলিভিশনের চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি।

আপনার নির্মিত সিনেমাটি বিকল্পধারার সিনেমা হিসেবে স্বীকৃত, বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের পরিচালনায় আপনাকে কি দেখা যাবে?

আমার কাছে সকল সিনেমা, অর্থ্যাৎ যে সিনেমা নির্মাণে অর্থের প্রয়োজন হয় সেটাই বাণিজ্যিক সিনেমা। তবে সিনেমার নির্মাণশৈলীর দিক থেকে সিনেমা দুটি ভাগে ভাগ হয়েছে। আমার সিনেমাটি বাস্তবতার নিরিখে নির্মাণের চেষ্টা করেছি। বাস্তবতা বর্হিভূত কোনো চিত্র আমি সেখানে রাখিনি। সিনেমাটি সমাজের বাস্তবতা চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে। আমি সব সময় এই ধরনের চলচ্চিত্রই নির্মাণ করবো। তথাকথিত বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরির ইচ্ছে আমার নেই।

বর্তমান সময়ে সামাজিক সিনেমা নির্মাণের প্রতিবন্ধকতাগুলো কী বলে আপনি মনে করেন?

প্রতিবন্ধকতা অনেক। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে আর্থিক সঙ্কট। এই ধরনের চলচ্চিত্রে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তথাকথিত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রগুলোর দিকেই গুরুত্ব দেয়।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top