সকল মেনু

জোড়া খুনের কারন ব্যক্তিগত দ্বন্দ

images (6)আদালত প্রতিবেদক:ব্যক্তিগত দ্বন্দ এবং জেদের বশবতী হয়ে কাজী ফার্মসের কর্মকর্তা খায়রুল বাশার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজীবকে খুন করেন রাজধানীর শ্যাওড়াপাড়ার ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মিলন প্রামাণিক।  ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের খাস কামড়ায় আসামি মিলন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে এ কাথা জানান। আসামি রিমান্ডে থাকা সময়ে মামরার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কাথা জানায়। পরে মামরার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক হুয়ামুন কবীর আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে আসামির জবান বাদিন্দ রেকর্ড করার আবেদন করেন।

গত শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির ৫২২ নং বাড়ির দ্বিতীয় তলায় খুন হন বাশার ও রাজীব। আসামি মিলন ও নিহত দুই ব্যক্তি এ বাসাতেই ভাড়া থাকতেন। মেসের মাধ্যমে একইসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতেন তারা। মিলন তার স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন, মিলন শ্যাওড়াপাড়ার একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। প্রায় বাশার তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কথা বলতেন। মিলনকে ছোট লোক, ছোট চাকরির অজুহাত দিয়ে খোটা দিতেন নিহত বাশার। এমনকি বাশার মিলনকে ছোট লোক বলেও মশকারা ও তামাশা করেছিলেন। হত্যাকা-ের তিন দিন আগে বাসার থালা-বাসন ধোয়া নিয়ে বাশারের সঙ্গে মিলনের কথা কাটাকাটি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বাশার সেদিন মিলনকে মারধর করেছিল। এর প্রতিশোধ নিতে মিলন বাশারকে খুন করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করে। শুক্রবার জুম্মার নামাযের সময় বাশারকে বাসায় একা পেয়ে তাকে হত্যা করে। এ হত্যাকা-ে অংশ নেন রুবেল নামের আরও এক ব্যক্তি। তবে বাশারকে হত্যা করার সময় রাজিব তা দেখে ফেললে তাকে হত্যা করে মিলন। হত্যাকা-ে অংশ নেয়া রুবেলও বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তবে মিলনের ভাই গ্রেফতার সোহেল এ হত্যাকা-ে অংশ নেয়নি। গত ৩ জুন এ জোড়াখুনের মামলায় মিলন প্রমাণিক ও তার ভাই সোহেল প্রামাণিককে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেয় আদালত। নিহত রাজীব সদস্য বেসরকারী গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাশ করেছিলেন। আর নিহত খায়রুল বাশার রাজধানীর কাজী ফার্মসের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top