সকল মেনু

নগরকান্দায় পৌরসভা নির্বাচনের শেষ মুহুর্তের হিসাব

index লিয়াকত হোসেন, নগরকান্দা থেকে: নগরকান্দা পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী এবং ভোটারদের শেষ সময়ের হিসেব নিকাশ আলোচনায় আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন মহল এবং সমর্থকদের মন্তব্য এই নির্বাচনকে আরো মুখর এবং প্রতিযোগীতাপূর্ণ করে তুলছে। প্রার্থীদের সমর্থকদের চোখে ঘুম নেই , বিরামহীন বয়ে চলছে ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ আর ভোট প্রাপ্তির চেষ্টা। কে হবেন আগামী দিনের নগরকান্দা পৌর মেয়র ? এ প্রশ্নের  উত্তর খুজে পেতে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ভোটারদের দ্বারস্থ হয়ে অত্র প্রতিবেদক নির্বাচনের শেষ সময়ের পূর্ণচিত্র তুলে ধরছে। একশ্রেণীর ভোটার বলছেন,  ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী রায়হান মিয়া একজন যোগ্য ও সৎ প্রার্থী । তিনি নগরকান্দা উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পরীক্ষিত সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবীদ। সম্প্রতি নগরকান্দা পৌরসভা উপ নির্বাচনে জয়লাভ করার পর প্রায় ৮ মাস পৌরবাসীর সেবা করার সুযোগ পায়। ঐ স্বল্পসময়ে তিনি পৌরসভা এলাকার অবহেলিত প্রধান প্রধান রাস্তাঘাট (যা দির্ঘদিন সংস্কারের অপেক্ষায় ছিল) মেরামত করেছেন। পৌরসভা এলাকার সড়কবাতি প্রয়োজনের তুলনায় ছিল ৩০ শতাংশ, রায়হানউদ্দিন মিয়া মেয়র নির্বাচিত হবার ১ মাসের মধ্যে প্রয়োজনমত সড়কবাতি স্থাপন করেছেন। তিনি নির্বাচিত হবার পরই পৌরসভা এলাকার পুরোনো চেহারা বদলে আধুনিকতার ছোয়া দিতে শুরু করেছিলেন। আওয়ামীলীগ  উর্ধ্বতন জনৈক এভাবেই বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহীকতা বজায় রাখতে নগরকান্দা পৌরবাসী আ’লীগের প্রার্থীকেই বিজয়ী করবে। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল মেয়র প্রার্থী হিসেবে এবারেই প্রথম। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত সে হিসেবে বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনে তার জনপ্রিয়তার কমতি নেই। রাজনৈতীক অঙ্গনে তার বিচরণ দির্ঘদিন হলেও ভোট রাজনীতিতে তরুন এই নেতৃত্ব আ’লীগের সাথে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মুরাদ হোসেন বিকুল তার সম্পর্কে এক শ্রেণীর ভোটাররা মুচকি হেসে বলছেন, বিএনপি এবং আ’লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে পৌরবাসীকে তাক লাগিয়ে দেবেন আ’লীগ দল থেকে বহিষ্কৃত এই প্রার্থী। কাউন্সিলর প্রার্থীরা স্বত:স্ফ’র্ত ভাবেই যার যার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছে। দলীয় ভাবে  প্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা থাকলেও নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের কোন অভিযোগ এখানে নেই। তবে অতি সম্প্রতি বিএনপি প্রার্থীর ছোট ভাই এবং বিএনপি’র প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তৈয়াবুর রহমান মাসুদকে ১৫৩ ধারায় ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা প্রদান করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় উপলদ্ধি করে সচেতন মহল মনে করছেন নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ন আর গ্রহনযোগ্য হবে সে প্রশ্ন একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায়না। তবে ইতমধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার  প্রার্থীদের সাথে মত বিনিময় সভায় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠ এবং শান্তিপুর্ন হবার যে নিশ্চয়তা দিয়েছেন তাতে প্রার্থীরা শতভাগ নিশ্চিন্ত হয়েছে ।  শেষ পর্যন্ত কোন প্রার্থী জয়ের মালা পড়বে তা দেখার জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top