সকল মেনু

নৌকা-ধানের শীষে গর্বিত প্রার্থী

jibon_nagarBG_465808155নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৩ ডিসেম্বর :  দলীয় প্রতীক নৌকা ও ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে পেরে যারপরনাই খুশি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে তারা গর্ববোধ করছেন। রাজনীতি জীবনের সেরা অর্জন হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ।
চুয়াডাঙ্গা সদর, জীবন নগর ও দর্শনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ আভাস পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থীরা বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ, দলাদলি, বিভাজন, অনক্য, বিদ্বেষ যাই থাক না কেন, বাঙালির জাতীয় জীবন ও রাজনীতিতে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই দুই প্রতীকের সঙ্গে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, আবেগ, উচ্ছ্বাস, ভাল লাগা মন্দ লাগা জড়িয়ে আছে।
কিন্তু তৃণম‍ূলের রাজনীতিবিদরা এই দুই প্রতীক নিয়ে কোনো দিন ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারেন নি। বিশেষ করে নব্বইয়ের পর মূলধারার রাজনীতিবিদদের হাত থেকে জাতীয় রাজনীতি ধনিক, ব্যবসায়ী, আমলা ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে চলে যাওয়ায় তৃনমূলের রাজনীতিবিদরা নৌকা বা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নামার সুযোগ খুব কম পাচ্ছেন।
তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন অর্থাৎ এমপি নির্বাচনে এলিট শ্রেণি বা টাকা পয়সাওয়ালা ধনিক শ্রেণীরাই দল থেকে মনোনয়ন পান। সেখানে তৃণমূলের পোড়খাওয়া নেতাদের প্রবেশাধিকার সীমিত।
আর এই জাতীয় নির্বাচনেই কেবল নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। ফলে তৃণমূলে রাজনীতি করতে করতে করতে পৌরত্ব বা মৃত্যুবরণ করলেও কাঙ্ক্ষিত প্রতীক নৌকা বা ধানের শীষ মার্কায় প্রার্থী হওয়ার সৌভাগ্য অনেকেরই হয় না। সেই দিক থেকে এবার যারা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তারা সত্যিই ভাগ্যবান।
এ প্রসঙ্গে কথা হচ্ছিল জীবননগর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাসির উদ্দীনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, আমাদের অগ্রজরা রাজনীতি করতে করতে কবরে চলে গেছেন, কিন্তু নৌকা মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ পাননি। আমি পরম সৌভাগ্যবান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রতীকে নির্বাচন করেন, আজ আমিও সেই প্রতীকে নির্বাচন করছি, যে সুযোগ কেবল এমপিরা পেতেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার কারণেই জাতীয় রাজনীতি আজ তৃণমূল রাজনীতিবিদদের কাছে এসে হাজির হয়েছে। আমরা সত্যিই গর্বিত।
শুধু আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীরাই নন, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীরাও দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন গ্রহণের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তারাও বলছেন, এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে জাতীয় রাজনীতির স্বাদটা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজনীতিবিদরাও জাতীয় রাজনীতির স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা বলেন, ধানের শীষ কেবল দলীয় ঐক্য’র প্রতীক না, জাতীয় ঐক্য’র প্রতীকও বটে। সেই প্রতীকে নির্বাচন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই প্রতীক না পেলে এবার হয়তো আমি নির্বাচন-ই করতাম না। কারণ, এই প্রতীকের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করার মত ধৃষ্ঠতা আমর নেই। এই প্রতীকে নির্বাচন করতে পেরে আমি গর্বিত।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top