সকল মেনু

জনশক্তি রপ্তানিতে মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে

Employmentআতিকুর রহমান: বেসরকারি খাতের বিকাশ আর বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিতে গত পাঁচ বছরে দেশে মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে নব্বই লাখেরও বেশি। আগামী এক দশকে আরও প্রায় দেড় কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ আছে, বলছে বিশ্বব্যাংক। তবে এর জন্য পর্যাপ্ত জমি, বিদ্যুৎ আর বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলছে সংস্থাটি।
জন্ম থেকে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ ছিল বেকার সমস্যা। কর্মযোগ্য জনগোষ্ঠীর হাতে কাজ নেই, এই বাস্তবতায় কেটেছে দেশ স্বাধীনের পর দুই দশক।
তবে নব্বই দশক থেকে বেসরকারি খাতের বিকাশের পর পরই পাল্টাচ্ছে পরিস্থিতি। তৈরি পোশাক, এসএমই ও নির্মাণ শিল্পের পাশাপাশি পরিবহণসহ সেবা খাতের দ্রুত প্রসারে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর হিসেব অনুযায়ী জিডিপির এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি মানে আড়াই লাখ নতুন কর্মসংস্থান। গত পাঁচ বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৬ শতাংশের বেশি। যোগফল প্রায় একত্রিশ শতাংশ। সে হিসেবে এই সময়ে দেশে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ। আর এই সময়ে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৪ লাখ মানুষের।
পরিকল্পনা কমিশন সদস্য শামসুল আলম বলেন,বিশ্বব্যাংকের গবেষণা মতে সামনের বছরগুলোতে কর্মসংস্থানের এই গতি বাড়ানোর সুযোগ আছে। উচ্চমজুরির কারণে চীন থেকে সরে যাওয়া অনেক শিল্পের লোভনীয় বাজার হতে পারে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসাইন বলেন তবে বছরে ১৫ লাখ এই নতুন কাজ তৈরির জন্য লাগবে অবকাঠামোর গুণগত পরিবর্তন। লাগবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাহীন সরকারি প্রণোদনা।
বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করারও বিকল্প নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top