নিজস্ব প্রতিবেদক,  হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৪ ডিসেম্বর :  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ।
সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরে আদালত মঙ্গলবার তাকে জেরা করার দিন ধার্য করেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালায় সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। আর আহত হন আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)  জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির ২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন। পরে একই বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত এই মামলায় ৬১ জনের সাক্ষ্য নেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। পরে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে মামলাটির তদন্ত ভার সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দকে দেন। ২০১১ সালের ৩ জুলাই তিনি তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নামযুক্ত করে মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।
এই মামলায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন। আর খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল হুদা, পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল হক, খোদা বক্স চৌধুরী ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুর রহমানসহ ৮ জন জামিনে আছেন।
একই মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৮ আসামি পলাতক রয়েছেন। আর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর