সকল মেনু

কোকেন মামলায় অভিযোগপত্র না নিয়ে ফের তদন্তের নির্দেশ

1449477722নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ০৭ ডিসেম্বর : চট্টগ্রাম বন্দরে তেলের চালানে কোকেন শনাক্তের মাদক মামলায় পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তে র‍্যাবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. রহমত আলী শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আজকে অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির দিন ধার্য ছিল।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান জানায়, মামলার আসামি মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগপত্রে নূর মোহাম্মদকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এ কারণে তদন্তে ত্রুটি আছে উল্লেখ করে আদালত র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
তেলের মধ্যে কোকেন আনা হয়েছে এম তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত করা হয়। প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল রয়েছে। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় নূর মোহাম্মদ ও গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।
গত ১৯ নভেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান।
অভিযোগপত্রে যে আটজনকে আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের রাজনগরের বকুল মিয়া, তেলের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে আজাদ, পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল আলম ও আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। এর মধ্যে আসামি ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া পলাতক।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top