সকল মেনু

ঝন্টু ও পিয়াস গ্রেফতার দেশী-বিদেশী অস্ত্র গুলি চাপাতি উদ্ধার

images (13)বগুড়া অফিসঃ বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা মজনু প্রামানিক ও নাহিদ হাসান হত্যা মামলার দুই আসামী জালাল আহম্মেদ ওরফে সন্ত্রাসী ঝন্টু ও পিয়াস গ্রেফতার হয়েছে। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে বিদেশী পিস্তল গুলি, চাপাতি চাকু উদ্ধার করেছে। বগুড়া জেলার সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) গাজিউর রহমান জানান, পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএম’র নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি’র এস আই আরিফুল ইসলাম ও এএসআই ফারুক বগুড়া শহরের কলোনী এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় মজনু নাহিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী বগুড়ার শাজাহানপুরের বেজোরা এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে পিয়াস ইসলাম (২৫) কে গ্রেফতার করে। পরে স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পশ্চিমপাড়া এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে আবুল কাশেমের ছেলে আবু তালেব’র বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে ঝন্টু(৩৫) ও তার স্ত্রী তানিশা খাতুনকে কে গ্রেফতার করে। ঝন্টু বগুড়া শহরের কলোনী এলাকার আজিজুল হক ছেলে। এদিকে পুলিশ ঝন্টুকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি ডিবির চৌকস দলটি ঝন্টুর ইটভাটা শজাহানপুরের বেজোরা জামতলা পরিত্যাক্ত অফিস থেকে মজনু ও নাহিদ হত্যা ঘটনায় ব্যবহৃত চা পাতি, চাকু একটি ইটালির তৈরী বিদেশী পিস্তল, চার রাউন্ডগুলি,ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঝন্টু পুলিশ’র কন্সষ্টবল ১০৩০ উজ্জলকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে কন্সস্টবল শাহিন ৬ রাউন্ড শর্টগান দিয়ে গুলি করে । এতে ঝন্টুর বাম পায়ে জখম হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত ঝন্টু ও পিয়াস এই ডবল খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তবে ন্যায় বিচার ও তদন্তের সার্থে এই মূহত্বে জনসম্মুখে কিছু বলা যাবেনা।এ নিয়ে এই মামলায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মে দিনে দুপুরে বগুড়ার শাজাহানপুরের গন্ডগ্রাম এলাকার বাসিন্দা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবু জাফর সিদ্দিকী রিপনের বাড়িতে যুবলীগ নেতা মজনু ও নাহিদকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পরই রিপন ও তোতলা বাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় শাজাহনপুর থানায় মজনুর স্ত্রী সুরভি বেগম বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় এজাহারনামীয় ১১ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ডিবি’র ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঝন্টু, পিয়াস দুধর্ষ সন্ত্রাসী। খুন অপহরণ, দখল চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top