সকল মেনু

ব্লগার হত্যাকাণ্ড, আনসারুল্লাহ প্রধানসহ আটক ৩

Blogger1441889780নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১০ সেপ্টেম্বর : বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় এবং সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বর্তমান প্রধানসহ ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাদের আটক করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল। র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটক ৩ জন হচ্ছে- আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বর্তমান প্রধান মো. আবুল বাশার, মিডিয়া ব্রাঞ্চের সদস্য জুলহাস বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসান। মাকসুদুল আলম জানান, গত ১৭ আগস্ট ব্লগার অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থায়ক তৌহিদুর রহমান, জসিমউদ্দিন রাহমানীর সহযোগী সাদেক আলী মিঠু এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের বিদেশে প্রেরণের সহযোগিতাকারী পাসপোর্ট দালাল আমিনুল মল্লিককে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মূলত ব্লগার হত্যা ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো জসিমউদ্দিন রাহমানীর নির্দেশক্রমে। এই সকল নির্দেশ আসত জসিমউদ্দিন রাহমানীর আপন ছোট ভাই আবুল বাশার এর মাধ্যমে। তাদের কাছ থেকে আরও জানা যায়, জুলহাস বিশ্বাস এবং জাফরান আল হাসান আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মিডিয়া শাখার কাজ তদারকি করত। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম কর্তৃক কোন হত্যাকান্ড পরিচালিত হলে জুলহাস ও জাফরানের কাজ ছিল বিভিন্ন নামে ঐ সকল হত্যা কান্ডের দায় স্বীকার করা। তিনি আরও জানান, এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব গোয়েন্দা দল জানতে পারে যে, মিডিয়াতে এদের নাম প্রকাশিত হওয়ার পর বাশার, জাফরান ও জুলহাস একত্রিত হয়ে দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করছে। উক্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকা থেকে জসিমউদ্দিন রাহমানীর ছোট ভাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বর্তমান প্রধান মো. আবুল বাশার, মিডিয়া শাখায় কর্মরত জুলহাস বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসানকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, রমজান ও নাঈম নামের দুই ব্যক্তি ব্লগার অভিজিৎ রায় ও  অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রমজান (সিয়াম) ও নাঈমকে গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে অভিজিৎ রায়কে টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর জখম হন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ।
এরপর গত ১২ মে সকালে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের বনকলাপাড়ায় পুকুরের পাশে অজ্ঞাতানামা চার দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top