সকল মেনু

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস বৃহস্পতিবার

WSPA_2012আন্তর্জািতক ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ০৯ সেপ্টেম্বর : ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ২৮ জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করে। অথচ আত্মহত্যা প্রতিরোধ্য। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্ভব। বিশেজ্ঞদের মতে, যারা এক সময় আত্মহত্যার কথা ভেবেছিল তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ আজ বেঁচে আছে বলে খুশী। এই ব্যাপারে তাদের মতামত হচ্ছে, তারা আসলে জীবন শেষ করে দিতে চায়নি -শুধু যন্ত্রণাটা দূর করতে চেয়েছিল৷ অষ্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রিয়া, কানাডা, কলম্বিয়া, ফিজি, ঘানা, হংকং, ভারত, আয়ারল্যান্ড, ইতালী, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, শ্রীলংকা, সুদান, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস প্রতিপালনসহ আত্মহত্যা প্রতিরোধে নানাবিধ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও আমাদের দেশে তা করা হচ্ছে না। ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আত্মহত্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। তথ্যে জানা যায়, আত্মহত্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। যা ২০১১ সালে ছিল ৩৮তম।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে গত ৬ বছরে সারা দেশে ৫৯ হাজার ৭৬০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আত্মহত্যা প্রতিরোধে তেমন কোনো জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ এখনো গৃহীত হয়নি। আত্মহত্যাপ্রবণ বেশিরভাগই ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। ২০১৩ সালে শুধু বিষপান আর ফাঁসীতে ঝুলে আত্মহত্যার ঘটনা ১০২৯টি। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখে ৭ দশমিক ৮ জন আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। কাউন্সেলিং এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে কাউকে আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, অতিমাত্রায় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হন। তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। আত্মহত্যা কেবল যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করে তাকেই না এর প্রভাব পরে প্রতিটি মানুষের ওপর।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top