সকল মেনু

সীমান্ত বন্ধ করার কথা ভাবছে অস্ট্রিয়া

1441631418আন্তর্জাতিক ডেস্ক,  হটনিউজ২৪বিডি.কম ০৭ সেপ্টেম্বর: শরণার্থীদের স্রোত নিয়ন্ত্রণে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়েছে অস্ট্রিয়া। দেশটির চ্যান্সেলর ওয়ার্নার ফেম্যান বলেছেন, অভিবাসী গ্রহণের জরুরি ব্যবস্থাটি ধাপে ধাপে বাতিল করা হবে। এর ফলে দেশটিতে নতুন করে কোন অভিবাসী প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। জার্মান চ্যান্সেলর  অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে রোববার টেলিফোনে আলাপ করার পর এক বিবৃতিতে ফেইম্যান বলেন, ‘আমরা সবসময়ই বলে আসছি জরুরি মুহূর্তে আমরা দ্রুত ও মানবিক আচরণ করেছি। আমরা সংকটজনক পরিস্থিতিতে ১২ হাজারেরও বেশি লোককে সহায়তা করেছি। এখন আমরা ধাপে ধাপে জরুরি ব্যবস্থা ছেড়ে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরে যাব।’ এদিকে, রেকর্ডসংখ্যক শরণার্থীর চাপ সামলাতে ছয় বিলিয়ন ইউরো ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল তার সরকারের মন্ত্রীদের নিয়ে সোমবার দীর্ঘ এক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়। এতে বলা হয়, জার্মানির রাজ্য সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষগুলো যাতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা নিতে পারে সেজন্য ওই অর্থ ছাড় করা হবে। এছাড়া আশ্রয়ের আবেদন নিষ্পত্তি ও শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজও দ্রুত এগিয়ে নেয়া হবে। জার্মানির বিভিন্ন রেল স্টেশনে হাসিমুখে শরণার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। রবিবার জার্মান ও অস্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল গাড়ি নিয়ে হাঙ্গেরি সীমান্ত পর্যন্ত যান এবং সেখানে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। তারা সেখান থেকে অনেককে সঙ্গে করে নিজেদের দেশে নিয়ে যান। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে আলোচনা করে জার্মানির সীমান্ত খুলে দেয়ার পর গত শনিবার থেকে ১৮ হাজার শরণার্থী দেশটিতে পৌঁছেছে। সম্প্রতি আয়লান কুর্দি নামে এক সিরীয় শিশুর মৃতদেহের ছবি বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করলে শরণার্থীদের নেয়ার ঘোষণা দেয় জার্মানি ও অস্ট্রিয়া। এরপরই গত কয়েকদিন ধরে দেশ দুটিতে হাজার হাজার শরণার্থী প্রবেশ করে। জার্মানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শরণার্থীদের সহায়তা করতে আগ্রহী তবে তা যেন ‘অতিরিক্ত’ না হয়। জার্মানির সীমান্ত শরণার্থীদের জন্য খুলে দিয়ে মের্কেল বিভিন্ন মহলের প্রশংসা পেলেও নিজের দেশেই তাকে এ নিয়ে সমালোচনায় পড়তে হচ্ছে। মের্কেলের এই সিদ্ধান্ত ‘ভয়ঙ্কর নজির’ তৈরি করেছে বলে রক্ষণশীলদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ বছর মোট আট লাখ শরণার্থী ও অভিবাসীকে জায়গা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জার্মানি বলেছে, ইউরোপের অন্যান্য দেশও এই মানবিক সঙ্কট থেকে উত্তরণে পদক্ষেপ নেবে বলে তারা আশা করে। অভিবাসীদের নিয়ে ইইউ দেশগুলোর মতভিন্নতার মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান আন্তোনিও গুয়েটার্স বলেছেন, এই সংকট সামলাতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর একটি যৌথ পরিকল্পনায় একমত হওয়া দরকার। আল জাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্স
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top