সকল মেনু

বাঘারপাড়ায় প্রাইভেটকার থেকে ১১০ পিস সোনার বার উদ্ধার

unnamedযশোরের প্রতিনিধি: গত ২ সেপ্টেম্বর যশোরের বাঘারপাড়ায় পুলিশের হাতে আটক  হওয়া প্রাইভেটকার তল্লাশি চালিয়ে ১২ কেজি ৮৩ গ্রাম ওজনের ১১০ পিস সোনার বার উদ্ধার করেছে পুলিশ। যশোর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রাইভেটকারটিতে ((ঢাকামেট্রো-গ-১৩-৯৫৪০) তল্লাশি চালানো হয়। বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছয়রুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এর উপস্থিতিতে রাতে প্রাইভেটকারটিতে তল্লাশি করা হয়। এ সময় গাড়ির গিয়ার বক্সের ভেতরে বিশেষ কায়দায় সোনার বারগুলো ১১টি প্যাকেটে লুকিয়ে রাখা ছিল। সেখান থেকে মোট ১১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, প্রাইভেটকারের মালিক খুলনার তৌহিদুর রহমানকে আটকে পুলিশের অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে খুলনা নগরীর দুই নম্বর কাস্টম ঘাটের মৃত রেজোয়ান খানের ছেলে তৌহিদুর রহমান খান (৪৬) নড়াইলের কালনাঘাট এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারযোগে খুলনার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। নড়াইল-যশোর সড়কের গাবতলা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলে ৫-৬ ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই প্রাইভেটকারের ড্রাইভার মালেকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন। ‘গাড়িতে অবৈধ সোনা রয়েছে এবং থানায় নিয়ে গাড়ি তল্লাশি করা হবে’ বলে মিজান গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেন। পিস্তল দেখিয়ে সবাইকে চুপ করে বসে থাকতে বলে মিজান নিজেই গাড়িটি চালিয়ে নিকটস্থ একটি ইটভাটায় নিয়ে যান। সেখানে গাড়ির ড্রাইভার ও আরোহীকে বেধড়ক পেটানো হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ চার হাজার ৭০০ টাকা ও দুটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর আবার গাড়ি চালিয়ে তারা বসুন্দিয়ার দিকে আসতে থাকে। পথে ধলগ্রাম রাস্তার মোড়ে বাঘারপাড়া থানার এসআই তরুণ কুমার কর গাড়িটি চ্যালেঞ্জ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেলে গাড়িটি অনুসরণ করা সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ মিজানুর রহমানকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানান, তিনি পুলিশের কনস্টেবল। তার পোস্টিং ঝিকরগাছা থানায়। (কনস্টেবল নম্বর ৫০৬)। তিনি নড়াইলের নড়াগাতি থানার নয়নপুর ামের মৃত মোক্তার শেখের ছেলে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ওয়াচার সাতক্ষীরায় কর্মরত লিপ্টন, পাবনার সুজানগর থানার কনস্টেবল রুবায়েত হোসেন (নম্বর-৬৯৪), অভয়নগরের মোশাররফ ও আশরাফ নামে দুই ব্যক্তি জড়িত বলে স্বীকার করেন মিজান। এ ঘটনায় তৌহিদুর রহমান খান বাদী হয়ে সেই রাতে বাঘারপাড়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ মিজানকে এ মামলায় গ্রেফতার করে থানায় রাখে। কিন্তু পরদিন ভোরে কনস্টেবল মিজান থানা থেকে পালিয়ে যান। আসামি পালানোর খবর পেয়ে ৩ সেপ্টেম্বর সকালে বাঘারপাড়া থানায় যান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক ও সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন।দায়িত্বে অবহেলার কারণে বাঘারপাড়া থানার ওসি কাইয়ুম আলী সরদার, এএসআই নাসির ও কনস্টেবল ওলিয়ার রহমানকে সেদিন বিকেলে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top