সকল মেনু

বেগম জিয়া এখন গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন: নৌ পরিবহনমন্ত্রী

indexনিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৩১ আগস্ট : নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বেগম জিয়া এখন গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন। এ কান্না বেগম জিয়ার কোথায় ছিল। অসহযোগ আন্দোলনের সময় পেট্রোল বোমা মারার নির্দেশ দিয়ে শত মানুষকে খুন করেছেন। তখনতো বিএনপি নেত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেননি। তিনি বলেন, বিশ দলীয় জোটের নেতা ও সাবেক বিএনপি নেতা অলি আহাদ বলেছেন, ‘এখন থেকে বিএনপি নরম কর্মসূচী দেবে’। আমাদের আশঙ্কা হয় এ নরম কর্মসূচী আবার কখন গরম হয়ে যায়। সোমবার সেগুন বাগিচার গণপূর্ত ভবন চত্বরে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া-মাহফিল পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভেকেট কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় কাউন্সিলার ফরিদ আহাম্মদ রতন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া মিলন প্রমুখ। মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পূর্বে বঙ্গবন্ধুর খুনীরা জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিল। তখন জিয়াউর রহমান খুনীদের বলেছে ‘গো অ্যাহেড’। এর অর্থ দাঁড়ায় তোমরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কর। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের খুনের ব্যাপারে জড়িত ছিল। শাজাহান খান বলেন, এখন খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। জঙ্গিদের সাথে আঁতাত করে বেগম জিয়া প্রধান মন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছে। সমস্ত ষড়যন্ত্রের নায়িকা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বেগম জিয়া পেট্রোল বোমা মারার নির্দেশ দিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। ২০১৫ সালে পেট্রোল বোমা মারার নির্দেশ দিয়ে ৯১ জন বাসের ড্রাইভার-হেলপারকে হত্যা করেছে। শাজাহান খান বলেন, বেগম জিয়াকে বলেছিলাম অফিসে না থেকে ঘরে ফিরে যান। তিনি বাড়ী ফিরে যাননি। উপরন্তু তিনি বলেছেন ‘আমার আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। কিন্তু তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের তোড়ে ঘরে ফিরে গেছেন। এসময় খাদ্য মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ও মোশতাক আহম্মেদ বঙ্গবন্ধু খুনের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হতো। কিন্তু মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশীট হয় না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এখনো অধরা। তাদেরকে এখনও চিহ্নিত করতে পারিনি। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু খুনের পর থেকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। আজকে জঙ্গি বা আল কায়েদাকে বিএনপি জামায়াত থেকে আলাদা করার সুয়োগ নেই।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top