সকল মেনু

এস এম সুলতানের জন্মোৎসব উপলক্ষে নৌকাবাইচ

narail1_564802202নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৯ আগস্ট : বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রা নদীতে হয়ে গেলো নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। প্রতি বছরের মতো এবারও লাখো মানুষের সমাগম ঘটে চিত্রা নদীর পাড়ে। শুধু নড়াইল নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ছুটে আসেন এ নৌকা বাইচ দেখতে। বিদেশি দর্শনার্থীদেরও দেখা গেছে চিত্রা নদীর পাড়ে। শনিবার দুপুরে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৩০টি নৌকা। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশ গ্রহণ আনন্দের বিশেষ মাত্রা যোগ করে দর্শনার্থীদের মাঝে। নড়াইল পুরাতন ফেরিঘাট থেকে জমিদারদের বাধাঘাট হয়ে ৫ কি. মি দূরে মাছিমদিয়া এস এম সুলতান চিত্রা ব্রিজে গিয়ে শেষ হয় নৌকাবাইচ। দর্শনার্থীরা চিত্রা নদীর দুই পাড়ে, বাড়ির ছাদে ও গাছের ডালে বসে উপভোগ করেন এ প্রতিযোগিতা। এবার এস এম সুলতানের জন্মোৎসবে নৌকাবাইচের আয়োজন করে নড়াইল জেলা প্রশাসন, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন। প্রাণ আপের সহযোগিতা ও বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বীরেন সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন- নড়াইল জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, সুলতান উৎসবের আয়োজক ও এস এম সুলতান চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ হানিফ, সদস্য সচিব বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট হেমায়েত উল্লাহ হিরু প্রমুখ। প্রতিযোগিতা শেষে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে ২৬ আগস্ট (বুধবার) নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চে ৪দিনব্যাপী সুলতান মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা মাছিমদিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন শিল্পী এস এম সুলতান। তার বাবা মো. মেছের আলি ও মা মোছা. মাজু বিবি। এই চিত্রশিল্পীকে ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা ও ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সমারিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top