সকল মেনু

শিল্পপার্ক স্থাপন হলে দুলাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে

fm-460_76027নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৫ আগস্ট : চীন বাংলাদেশে শিল্প পার্ক গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবিত এ শিল্প পার্ক স্থাপন হলে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া চীনের অর্থায়নে রাজধানির অদূরে পূর্বাচলে স্থায়ী প্রদর্শনী সেন্টার গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত চীনের বানিজ্যমন্ত্রী গাও হুচেংয়ের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করেন। এ সময় দুদেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পূর্বাচলে স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্র ও মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ সংক্রান্ত আলাদা দুটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে । এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, ইআরডি’র সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির মহা ব্যবস্থাপক হরিপদ পালসহ পররাষ্ট মন্ত্রণালয়, ব্রিজ ডিভিশন ও ইআরডি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে থেকে অর্থমন্ত্রী এবং চীনের প্রতিনিধিদলের পক্ষে দেশটির বানিজ্যমন্ত্রী নিজ নিজ সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। এসময় চীনের দিক থেকে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড নির্মাণ, শিল্প পার্ক, চায়না-বাংলা ফ্রিট্রেড জোন স্থাপন, সপ্তম ও অষ্টম ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, ফেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ও কমানোর বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের সরকারি-বেসরকারি অর্থায়ন, বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি, প্রতিযোগিতামূলত দরপত্রের মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন নির্মাতা সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, চীনের এ´মি ব্যাংকের প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পে ১৫ শতাংশ অগ্রীম পরিশোধ, চীন থেকে নেওয়া ঋণের সুদের হার এবং বিদ্যমান ও নতুন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে সে দেশের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা কামনা করেছিলেন। এ সময় কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। ওই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী করনীয় নির্ধারণের অংশ হিসেবে চীনের বানিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণে চীনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এছাড়া চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারাও বাংলাদেশ সফরে আসবেন। তাদের সফরের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ সফর করছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে যেসব চুক্তি হয়েছিল সেগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে প্রতিনিধিদলটি। মুহিত বলেন, পূর্বাচলে স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চীন বাংলাদেশে একটি ফ্রি ট্রেড জোন নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও শিল্প পার্ক স্থাপনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। শিল্প পার্কটি স্থাপন হলে দেশে প্রায় দু’লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বৈঠকে টেক্সটাইলখাতে সাড়ে ৩শ মিলিয়ন ডলার এবং পাট শিল্পে ৩শ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে। এছাড়াও চীনের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্নখাতে বিপুল পরিমান বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারত, মায়ানমার হয়ে চীনের কুনমিং পর্যন্ত প্রস্তাবিত হাইওয়ে নির্মাণ নিয়ে কথা হয়েছে। প্রায় ১৭০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২৩ কিলোমিটার বাংলাদেশ তৈরি করবে। এই সড়ক তৈরি হলে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে আন্তযোগাযোগ ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক উন্নতি সাধন হবে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top