সকল মেনু

গাইবান্ধায় ৮৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী

indexনিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৫ আগস্ট : পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। করতোয়া নদীর পানি ২৫ সে. মি. বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ১৪ সে. মি. এবং ব্রহ্মপুত্রে ২৬ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যায় এ জেলার সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩৯টি গ্রামের ৮৪ হাজার ৬২২ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে করতোয়া নদীর পানির তোড়ে মঙ্গলবার পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের জাইতোর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের ১৫০ ফুট অংশে ধস দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হোসেনপুর ইউনিয়নের কিসামত চেরেঙ্গা এলাকায় বাধের প্রায় ৭০ ফুট এলাকা ভেঙে ১৬টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পানি উঠে পড়ায় জেলায় মোট ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ায় সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের চর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নিলামের মাধ্যমে মাত্র ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু জানান, করতোয়ার পানির চাপে জাইতোর এলাকায় পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে ধস দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে একই উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জানান, কিসামত চেরেঙ্গা এলাকায় পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের প্রায় ৭০ ফুট ভেঙে কিশমত চেরেঙ্গা, চেরেঙ্গা, দৌলতপুর, মধ্য রামচন্দ্রপুর, করিহাটা, জগন্নাথপুর, সানদহ গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, ধস ও ভাঙন ঠেকাতে দুপুর থেকে ওইসব এলাকায় কাজ শুরু করা হয়েছে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top