সকল মেনু

রক্ষা হল না কাউছারের

 mail.google.comশাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: বুধবার ভোরে লঞ্চ থেকে বোরখা পড়ে নামার পর সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে লক্ষীপুরের রামগঞ্জ যাবার সময় অটোরিক্সা চালকের সন্দেহ হওয়ায় সে এক যুবককে আটক করে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আটককৃত ওই যুবকের নাম কাউছার হোসেন পাটওয়ারী। তার বাবার নাম আবুল কালাম পাটওয়ারী। বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর গ্রামে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি সহকারি বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে।     চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, কাউছার গত ৯ আগষ্ট সকালে তার গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির মহিম মোল্লা নামের এক চা দোকানীর স্ত্রী প্রিয়াংকাকে তার দুই শিশু সন্তানসহ নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। মহিম মোল্লা এ বিষয়ে পরদিন রামগঞ্জ থানায় মামলা করলে পুলিশ কাউছারের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য তার এক চাচাকে গ্রেফতার করে। পরে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বঙ্গবজারের কাছে এক বস্তিতে বসবাসরত কাউছারের বন্ধু হোসেনের বাসায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাদের এলাকায় ফিরে আসার জন্য চাপ দেয়। সে মতে কাউছার তার কথিত প্রেমিকা প্রিয়াংকাকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর আসার জন্য সদরঘাট থেকে লঞ্চে উঠে। এর মধ্যে কাউছার ও প্রিয়াংকার কাছে মোবাইলে খবর চলে আসে যে, তাদের ধরার জন্য চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে প্রিয়াংকার স্বামী লোকজনসহ অবস্থান করছে। তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য কাউছার প্রিয়াংকার পরামর্শে তার পরিধানের বোরখা পড়ে ভোরে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে নামে। ছদ্দবেশ ধরায় কাউছারকে চিনতে না পেরে লঞ্চ ঘাটে আসা প্রিয়াংকার স্বামী প্রিয়াংকাকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। বোরখা পড়া অবস্থায় কাউছার চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে রামগঞ্জ যাবার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় উঠলে অটো চালকের সন্দেহ হয়। সে অটোটি নিয়ে রামগঞ্জের দিকে রওয়ানা না দিয়ে ঘাট লাগোয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে চলে যায় এবং পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। পরে নৌ-পুলিশ রামগঞ্জ থানায় খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে কাউছারের বিরুদ্ধে ওই থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে। রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে কাউছারকে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
ধৃত কাউছার জানিয়েছে, প্রিয়াংকার প্ররোচলনায় সে তাকে নিয়ে পালায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছয় মাস আগে তাদের পরিচয় হয়। কাউছারের বাবা একজন কৃষক। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কাউছার সবার ছোট। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর পড়ালেখা ছেড়ে সে কিছুদিন নসিমনের সহকারি হিসেবে এলাকায় কাজ করেছে। ১৬/১৭ দিন হয় সেই কাজ ছেড়ে রাজমিস্ত্রির সহকারি হিসেবে কাজ করছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top