সকল মেনু

পাচারের ৩ মাস পর ফিরল সীমা ও তসলিমা

maguraa1439304213নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১১ আগস্ট : পাচার হওয়ার প্রায় ৩ মাস পর ভারতের বোম্বে থেকে ফিরে এসেছে মাগুরার তসলিমা পারভীন (২০) ও সীমা খাতুন (১৮)। সীমা মহম্মদপুর উপজেলার উথলী গ্রামের আলম শেখের মেয়ে। তসলিমা একই উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের কৃষক গোলাম হোসেন শিকদারের মেয়ে। এ ব্যাপরে মহম্মদপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে  মঙ্গলবার বিকেলে তাদের মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সীমা জানান, ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিজ গ্রামের চুন্নু মেম্বর, এলেম, সেলিম ও আহম্মদের যোগসাজশে নূর আলম তাকে ঢাকায় নিয়ে মহম্মদপুরের যশবন্তপুরের রিয়াজ নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়। পরে তাকে যশোর নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে রিয়াজের স্ত্রী পরিচয়ে চিকিৎসার কথা বলে ভারত নেওয়া হয়। জ্ঞান ফিরে দেখতে পান তিনি একটি কলাবাগানে। তখন জানতে চান, চাকরির জন্য তাকে ঢাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি এখানে কেন। তখন পাচারকারীরা তাকে বলে, এটা ঢাকা নয় ভারত। এ সময় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে চিৎকার শুরু করলে পাচারকারীরা তাকে জেলের ভয় দেখায়। পরে দীর্ঘ ট্রেনযাত্রার পর বোম্বে শহরের লিপি নামে এক নারীর বাড়িতে ওঠায়। তসলিমা জানান, পাচারকারী চক্রের প্রধান মহম্মদপুর উপজেলার উথলী গ্রামের নূর আলম পরিচয় গোপন করে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের ১০-১২ দিন পর বেড়ানোর কথা বলে যশোরে এক বাড়িতে দুদিন রেখে অবৈধ পথে ভারতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রায় দুদিন ট্রেনযাত্রা শেষে বোম্বে শহরে বসবাসকারী খুলনার লিপি নামে এক নারীর ভাড়া বাসায় রেখে নূর আলম লাপাত্তা হয়ে যায়। সেখানে সীমা ও তসলিমাকে নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়। এদিকে সীমার ভাই জালাল উদ্দিন গত ১৭ জুলাই  ও তসলিমার বাবা গোলাম হোসেন ২১ জুলাই পাচারের অভিযোগে মহম্মদপুর থানায় নূর আলমের নামে পৃথক মামলা দয়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামি নূর আলমকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পুলিশের অব্যাহত চাপে অবশেষে গত ৩-৪ দিন আগে নূর আলম সীমা ও তসলিমাকে ভারত থেকে এনে যশোর রেখে পালিয়ে যায়। পরে তারা বাড়ি ফিরে পুলিশ প্রশাসনের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। নূর আলম, রিয়াজসহ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top