সকল মেনু

ম্যাজিষ্ট্রেটের অফিস থেকে পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আসামী ছিনিয়ে নিলেন

 

মোঃ মাহফুজ আলম মুনী: নাটোর থেকেনাটোরের বড়াইগ্রামে এসিল্যান্ড (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দপ্তর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে তিন ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিলেন খোদ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। এ সময় তার সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্নাহসহ শতাধিক যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগ সভাপতি জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফেনসিডিল বিক্রেতা আবুল হাশেমসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। বুধবার সকালে এএসআই আব্দুল খালেক ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য তাদেরকে এসিল্যান্ড সারওয়ার আলমের কার্যালয়ে হাজির করেন। এ সময় দলীয় শতাধিক নেতাকর্মীসহ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মারপিট করেন এবং আসামীদের ছিনিয়ে নিয়ে উল্টো এএসআই আব্দুল খালেকের বিচারের দাবীতেই বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এএসআই আব্দুল খালেক জানান, আসামীদেরকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে নিয়ে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যরা আসামীদের ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। বনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই নুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীদের আটক করা নিয়ে স্থানীয় সরকার দলীয় লোকজনের সাথে কিছুটা ভূল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে তার সমাধান হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসিল্যান্ড (ভূমি) সারওয়ার আলম বলেন, আমার অফিসে আসামীদের নিয়ে আসলে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি তবে আমার সামনে কোন ঘটনা ঘটেনি। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাওে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top