সকল মেনু

দিনাজপুর শহরে অনুমোদনহীন অস্বাস্থ্যকর আইসক্রীম বিক্রি

mail.google.com মোঃ বেলাল উদ্দিন, দিনাজপুর: প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনাজপুর শহরের অলিতে গলিতে বিক্রি করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর, বিষাক্ত অনুমোদনহীন আইসক্রীম। যা শিশু বিকাশে মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষ করে প্রতিটি স্কুলের সামনে এবং পাড়া-মহল্লায় এই আইসক্রিম বিক্রি হতে দেখা গেলেও এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। আমাদের কোমলমতি অবুঝ শিশুরা না বুঝে এই ধরণের আইসক্রিম খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা ধরণের কঠিন রোগে ভুগছে। সুন্দর ও আকর্ষণীয় মোড়কে এই আইসক্রিমগুলি বিশেষভাবে তৈরী করা হয়। যা শিশুদের নিকট অত্যন্ত প্রিয়। অথচ এই আইসক্রিমগুলি শিশুদের খাদ্য উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে কি না এর মান কতটুকু সঠিক তা কোন দিনই প্রশাসন থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। জমাট বাঁধা পাউডার দুধ আর স্যাকারিন দিয়ে তৈরী এই আইসক্রিমগুলি শিশুরা খাচ্ছে। নিম্নমানের মেয়াদ উত্তীর্ণ জমাট বাঁধা পাউডার দুধ যা তেজস্ক্রিয়ামুক্ত আছে কি না তা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাকারিন যা শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। স্যাকারিন কিডনী, চক্ষু ও মেধা বিকাশে অন্তরায় ও নানা রোগের সৃষ্টি করে। এমনকি মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দেয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ জমাট বাঁধা গুড়ো দুধ ও স্যাকারিন খোলা বাজারে যত্রতত্র পাওয়া যাচ্ছে। যা ঝুঁকিপূর্ণ আইসক্রিম তৈরীর প্রধান উপাদান। অন্যদিকে, দিনাজপুর ও সৈয়দপুরে বিভিন্ন প্রেসে তৈরী হচ্ছে নানাবিধ আইসক্রিমের চমকপ্রদ মোড়ক। এই মোড়কে নানা নামী দামী কোম্পানীর নাম, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর লেখা থাকে যা সম্পূর্ণটাই ভুয়া। এ সব নামে আদৌ কোন কোম্পানীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। একটি আইসক্রিম তৈরী করতে মোড়ক সহ খরচ পড়ে সাধারণ আইসক্রিমের বেলায় ৩০ থেকে ৪০ পয়সা। যা বিক্রি হয় ২ টাকায়। আর চিনি, পাউডার দুধসহ কলা, আম, আনারসের ক্যামিকেলযুক্ত এসেন্ট ও সুগন্ধি ব্যবহার করে আইসক্রিমে খরচ হয় ১ টাকা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা। যা বিক্রি হয় ৫ টাকা থেকে প্রকারভেদে ১০ টাকা। আইসক্রিম বিশেষ করে শিশুদের নিকট খুবই প্রিয়। দিনাজপুর শহরের একাধিক আইসক্রিম কারখানায় দেখা যায়, নোংরা পরিবেশ। কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই আর নেই বিএসটিআই এর ছাড়পত্র বা অনুমোদন পত্র। সুইহারী এলাকার এক সাইন বোর্ডবিহীন আইসক্রিম কারখানার মালিক বাবু জানায়, এইগুলি আমাদের লাগে না। শুধু মাসে মাসে বাবুদের টাকা দিলেই সব ঠিক। কাকে টাকা দেন কিংবা কিভাবে টাকা দেন এই প্রশ্ন করা হলে কারখানার মালিকসহ কর্মচারীরা মুখ খুলতে নারাজ। বলেন যে, আপনারা বের করে নিন, আমরা বলতে পারব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top