সচিবালয় প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম :  জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। কোনো চাপের মুখে অটোরিকশাসহ সব ধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন  ছিদ্দিক।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই এই নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে আসা হবে না।

সড়কসচিব বলেন, সারা দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার পরও কিছু কিছু মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা-চালকরা কেন বিক্ষোভ করছেন তা বোধগম্য নয়।

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, টেম্পো ও সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলতে পারবে না। তবে তা অন্য যেকোনো সড়কে চলতে পারবে। আমাদের এলজিইডির সড়ক আছে, পৌরসভার সড়ক আছে, সিটি করপোরেশনের সড়ক আছে। সবগুলো রাস্তায় তারা চলতে পারবে।’

জাতীয় মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশাসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞায় জনসমর্থন রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বিআরটিএ, জেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তারা অভিযান অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনাগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হলে এর একটি হলো ব্ল্যাক স্পট, এটা তো আমরা প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আগামী বছরের ভেতরে সড়কের ত্রুটির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না। বাকি দুটো- এনফোর্সমেন্ট ও এডুকেশন নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, ১ আগস্ট শনিবার থেকে জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এর পর থেকে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধে সারা দেশে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও জেলা প্রশাসন।

পাশাপাশি মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধে বিআরটিএর পাঁচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।

মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই ছিল। ২০০৬ সাল থেকে ব্যাটারিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। নতুন করে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।

গত ২৭ জুলাই সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপনে সড়ক নিরাপত্তা বিধানে সব জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পো এবং সব ধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ এবং ১ আগস্ট শনিবার থেকে তা কার্যকর করার কথা বলা হয়।

এর আগে গত ২২ জুলাই সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এক সভায় মহাসড়কে অটোরিকশা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওই বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মহাসড়কে নতুন উপসর্গ সিএনজি অটোরিকশা, যা সেকেন্ডের মধ্যে দুর্ঘটনায় পড়ে। এগুলো মহাসড়কে খুব বেশি হারে চলে এসেছে। এসব অটোরিকশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।