সকল মেনু

সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

সৈয়দ-আশরাফুল-ইসলাম2-604x345

নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ০১ আগষ্ট : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে খালেদা জিয়া যে ভুল করেছেন আগামীতে আর সেই ভুল করবেন না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে যুবলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিএনপি হয়তো ভুল বুঝতে পেরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি থেকে সরে এসেছে। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে। ওই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত কি না অপর এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে তারা সরে এসেছে কি না, তা তো স্পষ্ট করেনি। তবে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী বিএনপিসহ সকল দলের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। আশা করি,  সকল দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তার ইচ্ছা। তিনি বলেন, গতবারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আসার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানানো হয়েছিল, এবারও প্রধানমন্ত্রী বার বার তা বলেছেন। সৈয়দ আশরাফ বলেন, ’৭০ সালের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের এতো সদস্য ছিল না। কিন্তু ছাত্রলীগ ছিল সংগঠিত। ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ দাওয়াত পৌঁছে দিতো। তাই নির্বাচনের প্রচারও করতে হয়েছে ছাত্রলীগকেই। তিনি বলেন, ৭০ সালের নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু নেত্রকোনায় এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন। আমি তখন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। আমিও ওই সভায় গিয়েছিলাম। সভা শেষে যখন রাত ৩টার দিকে ফিরে আসছিলাম সার্কিট হাউসে, তখন রাস্তায় গাছ ফেলা হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারলাম কুচক্রীমহল বঙ্গবন্ধুকে ঢাকায় ফিরতে না দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তখন সবাই মিলে গাছগুলো সরিয়ে ফেললাম। পরে সার্কিট হাউসে আসলাম।
আশরাফ বলেন, ওই সময় তৎকালীন ডেপুটি কমিশনারকে তলব করলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বললেন, আমি এখনই ইয়াহিয়ার সঙ্গে কথা বলবো। কমিশনার বললেন, এখন তো রাত ৩টা বাজে। তাছাড়া ইয়াহিয়া খান রাওয়ালপিন্ডিতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু বললেন, আমি এসব বুঝি না। আপনি ব্যবস্থা করুন কথা বলার জন্য। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে কথা বলেন। তখন বঙ্গবন্ধু ফোনে বলছিলেন, আপনি কি পাকিস্তানে নির্বাচন চান কি চান না? আর যদি নির্বাচন চান তাহলে রাতে আমার যাওয়ার সময় গাছ ফেললেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ইয়াহিয়া খান বললেন, নির্বাচন হবে। আপনি শান্ত হোন। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। ওই সময় বঙ্গবন্ধু যেভাবে কথা বললেন আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। আগামী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ‘বাঙালির হৃদয়ের ফ্রেমে জাতির পিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুবলীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়ে শক্তিশালী। যুবলীগের বইয়ে বঙ্গবন্ধুর অনেক ছবি সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এটা তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয়।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top