সকল মেনু

তাগিদ সহনীয় মুদ্রানীতি প্রণয়নের

Mudraniti1438175819অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ‘মুদ্রানীতি’ সহনীয় ও নমনীয় রাখার তাগিদ দিয়েছেন দেশের প্রবীণ অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সুদহার নিম্নমুখী করে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আগের আঙ্গিকেই মুদ্রানীতি হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবার প্রবৃদ্ধি অর্জনে যেসব নীতিনির্ধারণী কৌশল প্রয়োজন, তার সবই থাকবে মুদ্রানীতিতে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, জানুয়ারিতে যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তার সঙ্গে সংগতি রেখেই পরবর্তী মুদ্রানীতি হওয়া উচিত। পরিবর্তনের তেমন প্রয়োজন নেই। মুদ্রানীতিতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে রাখার জায়গা থাকতে হবে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ ধরে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত এই নীতিতে বেসরকারি খাতে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

মুদ্রানীতি প্রসঙ্গে বুধবার বিকেলে কথা হয় বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি হটনিজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোয় সুশাসনের যে অভাব রয়েছে, তা রোধে পরবর্তী মুদ্রানীতিতে কী ব্যবস্থা থাকবে- তার নির্দেশনা থাকতে হবে। একই সঙ্গে আসছে মুদ্রানীতির ভঙ্গি আগের অবস্থানে থাকলেই ভালো হবে।’

এর কারণ হিসেবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিনিয়োগের যে অবস্থা ছিল, এখনো সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গ্যাস-বিদ্যুৎসংকটসহ অবকাঠমোগত সমস্যাগুলো আগের মতোই রয়েছে। তাই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে।’

দেশের প্রবীণ আরেক অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম হটনিজ২৪বিডি.কমকে বলেন, মুদ্রানীতিতে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর ঘোষণার পাশাপাশি কিছু কৌশলও থাকা দরকার। এখনো বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আসছেন না। বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করেই বিনিয়োগ করেন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা উচিত।

একই সঙ্গে বাস্তবায়নযোগ্য মুদ্রানীতি প্রণয়নের প্রতি গুরুত্ব দেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ।

সংকোচন বা সম্প্রসারণমূলক নয়, মুদ্রানীতি নমনীয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ইব্রাহিম খালেদ। তিনি হটনিজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলোতে তেমন একটা তারল্য সংকট নেই। এখন বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে এমন কিছু নীতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে আসে।

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতির ধরন এবং মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহের কর্মসূচি ঠিক করতে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, প্রাক্তন গভর্নর, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের (স্টেকহোল্ডার) মতামত নেওয়া হয়েছে। মতামত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top