সকল মেনু

প্রশ্নবিদ্ধ জামিন !

justice-courtনিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম: প্রতারণার মাধ্যতে ৪৬ লাক্ষ টাকা আত্মসাতের মামলায় পলাতক দুই আসামির জামিন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আসমিরা  সকালে অত্মসর্পন করার জন্য প্রচলিত পদ্ধতি ভেঙ্গে তড়িঘড়ি করে জামিন আবেদন পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয়ে জমা দেয়নি। পরে বিচারক এজলাসে উঠার সঙ্গে সঙ্গে জামিন আবেদন জমা দিয়ে আসামি পক্ষ প্রথম শুনানী করে জামিন হাসিল করেছে। এমনকি বাদী পক্ষের আইনজীবীদের জামিন আবেদনের বিরোধীতা করার পর্যাপ্ত পরিমাণ শুনানি করার সুযোগ দেননি ঢাকার ১৭ নম্বর মহানগর হাকিম মো. মারুফ হোসেন। এরপরে আসামিরা জামিননামা আদালতে দাখিল না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। মামলার আসমিরা হলেন রাজধানীর বারিধার কালাচাঁদপুরের আনোয়ার হোসাইন ও তার স্ত্রী কাজী তাহেরা হোসাইন তিন্নি। পরে এই জামিনের খবরে ঢাকার আদালত এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। এরআগে বাদী পক্ষ থেকে ভুয়া আসামি আত্মসমর্পনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিকাল চারটার সময় মূল আসামিদের হাজির করা হয়। জামিনের এ আদেশে বাদীর আইনজীবী মো মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা ন্যায়বিচার পায়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকলেও বিচার জামিন দিয়েছেন। অথচ এর চেয়েও কম অভিযোগের মামলায় এই বিচারক জামিন দেননা।’;
এর আগে শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মনসুর রিপন আদালতকে বলেন,‘নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে জামিনের দরখাস্ত মাননীয় আদালতের কাছে উপাস্থপন করা হয়নি এবং বাদী পক্ষকে জামিন বিরোধীতার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হয়নি। যা প্রচলিত আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’ শুনানির এক পর্যায়ে মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন আসামিদের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘জামিননামা দাখিল না করে আসামিকে আদালত হতে নিজেদের কাস্টডিতে নিয়ে যেয়ে ঠিক কাজ করেননি।’ তার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আইনজীবী আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, আসামিরা একটি আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের সদস্য। এরা ইয়াবা, হিরোইনসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া রাজধানীর বারিধারা এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের স্ত্রী ও মেয়েদের বিভিন্ন আন্তজার্তিক ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত ১৭ জুন বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিন আহমেদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর স্ত্রীর কাছ থেকে আসামিরা আমদানী রপ্তানিসহ আন্তর্জাতিক বিজনেস প্লানসহ অতি আকর্ষণীয় প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ছয় লক্ষ টাকা ও পরে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আসামিরা বাদীর ব্যবসায়িক সুপরিচিতির কারনে আমার স্ত্রী সরলতার সুযোগ নিয়ে মাসিক এক লক্ষ টাকা বেতন ও ৬০ হাজার টাকা সম্মানি ভাতার প্রলোভন দেখায়। এছাড়া আসামিরা আন্তজার্তিক ব্যবসা করার জন্য মূলধন ১০ কোটি টাকার প্রাথমিক বিনিয়োগের কুট কৌশল করে। এরআগে মামলা তুলে নিতে তাহের হোসাইন তিন্নি বাদীকে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। এ কারনে রাজধানীর পল্টন থানায় ৩০ জুন একটি সাধার ডায়েরী করা হয়।  যাহার নম্বর-১৭৭৯।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top