শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: অব্যাহত বর্ষণ ও ভরা বর্ষার কারণে দেশের অন্যতম বড় ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের (সিআইপি)’ অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। প্রকল্পের বাইরে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে প্রকল্প এলাকার ফরিদগঞ্জ, রায়পুরসহ ছয় উপজেলায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জলাবদ্ধতার কারণে প্রকল্পের ভেতরে বহু আমন বীজতলা বিনষ্ট হয়ে গেছে এবং রোপণ করা আমন ক্ষেত ৩ হতে ৫ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। এ কারণে চলতি মৌসুমে আমন চাষ করা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে আবাদকৃত শত শত মাছের ঘের পানির চাপে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও নিম্নাঞ্চলের কৃত্রিম জলাবদ্ধতা বন্যায় রূপ নিয়েছে। শত শত পুকুর ও ঘেরের চাষ করা মাছ ভেসে চলে গেছে। অনেক এলাকার রাস্তা ঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। জলাবদ্ধতায় এসব এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পানি কমে গেলে পুনরায় আমন চাষ করতে গিয়ে কৃষকদের আমন চারার সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কৃষকরা নষ্ট হয়ে যাওয়া বীজতলার ক্ষতি পুষিয়ে উাার জন্য সড়কের পাশসহ বিভিন্ন স্থানে নতুনভাবে বীজতলা তৈরি করেছে। তবে সেচ প্রকল্পের অন্য এলাকার অবস্থা তথৈবচ।
প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল দখল করে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। অপরদিকে” প্রকল্পের ভেতরের অধিকাংশ খাল গত এক দশকেও খনন না করায় বোরো মৌসুমে সেচ সরবরাহ ব্যাহত হয়। প্রতি মৌসুমেই এ কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে প্রকল্পভুক্ত ৬ উপজেলার ১০ লাখ কৃষককে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পাউবোর অধীনে ১৯৬৩-১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলা, রায়পুর উপজেলা, লক্ষ্মীপুর সদর (আংশিক), রামগঞ্জ (আংশিক), চাঁদপুর সদর (আংশিক) ও হাইমচর উপজেলার ১০০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়। ৫৮ কিলোমিটার আয়তনের ডাকাতিয়া নদী এই প্রকল্পের প্রধান জলাধার। প্রকল্পের ভেতরে ৫৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও ৫০ লাখ অধিবাসী রয়েছে। আর কৃষক রয়েছে ১০ লাখেরও বেশি। প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের জন্য হাজীমারা এলাকায় অত্যাধুনিক স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা সংস্কার না হওয়ায় রেগুলেটরের ভেতরে ও বাইরে নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। প্রকল্প এলাকার লোকজন ও পানি নিষ্কাশনের সাথে সংশ্লিষ্ট সিআইপি কর্তৃপক্ষ জানান, চলতি টানা বৃষ্টিপাত হতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা গত ১৫ বছরও দেখা দেয়নি।
প্রকল্পভুক্ত কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাজিমারা রেগুলেটরের মুখের ভেতরে ও বাইরে নদীতে পলি জমাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন বিঘিœত হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে গত ২০দিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় সেচ প্রকল্পের ভেতর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন গ্রামে কৃত্রিম বন্যা দেখা দেয়। প্রকল্প এলাকায় শাকসবজি ও পেঁপে গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জলাবদ্ধতার আগে প্রকল্প এলাকার প্রায় অর্ধেক জমিতে আমনের চারা লাগানো হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে তা নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি জমিগুলোতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকায় কৃষকরা এখনও ক্ষেতে আমন চারা রোপণ করতে পারেনি। তারা আরও জানান, সিআইপি ভেড়িবাধের পাশে বিভিন্ন স্থানে বোরো স্কিমের দু’শতাধিক পাম্প মেশিন রয়েছে। স্কিম ম্যানেজারদেরকে বলে এই সব পাম্প মেশিন দিয়ে প্রকল্পের ভেতর হতে পানি নিষ্কাশন করা হলে তারাতারি জলাবদ্ধতা কমে যাবে।
সিআইপি কৃষি সম্প্রসারণ সুপারভাইজার জহিরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে সিআইপি এলাকায় ১৬ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয়ায় বহু কৃষকের আমন বীজতলা ও চারা রোপণ করা আমন ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে গেছে। পানি কমে গেলে পুনরায় আমন চাষ করতে গিয়ে কৃষকরা আমন চারা সঙ্কটে পড়তে পারে।
সিআইপির উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) বদর উদ্দিন মোল্লা জানান, মেঘনা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ভেতর হতে হাজিমারা ও চরবাগাদী স্লুইচ গেইট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চরবাগাদী পাম্প হাউজের মোট ১২শ’ কিউসেকের ৬টি পাম্প মেশিন দিয়ে বিরতিহীনভাবে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। নিষ্কাশিত হওয়া পানির চেয়ে বৃষ্টির পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় প্রকল্প এলাকায় বর্তমানে জলাবদ্ধতার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর শাখা কর্মকর্তা (এসও) মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় পলি অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ বরাদ্দ পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে পলি মাটি অপসারণের কাজ করা হবে।
সর্বশেষ অবস্থা জানতে পাউবোতে যোগাযোগ করা হলে প্রকৌশলী শওকত আলী জানান, হাজীমারা স্লুইচ গেট দিয়ে পানি বের করা হলেও বৃষ্টি না কমায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। তবে ৪/৫ দিন বৃষ্টিবিহীন আবহাওয়াই এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার আরেকটি অন্যতম কারণ সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে খাল দখলসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ করা। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন এলাকায় খাল ভরাট ও দখলের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা দূর হলে বা ক্ষেতগুলো থেকে পানি নামলেই কৃষকরা পুনরায় আমন চাষ করতে পারবে। তবুও কৃষকের ক্ষতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার জন্য প্রায় দেড় টন বীজ ধান কুমিল্লা থেকে স্থানীয় ডিলারের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে পানি নেমে গেলে কৃষকরা বীজতলা করতে সমস্যায় না পড়ে। এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে ফরিদগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্থ বীজতলার পরিবর্তে ইতিমধ্যেই কৃষকরা রাস্তার পাশে, কলাবাগান ভেঙ্গে, কবরস্থানের পাশসহ বিভিন্ন স্থানে বীজতলা তৈরি করেছেন। চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চারার জন্য তেমন ক্ষতির মুখোমুখি না হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের।
এদিকে চলতি জুলাই মাসে অর্থাৎ পহেলা জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ৬৯৬ মিঃ মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা অন্য যে কোন সময়ের চাইতে বেশি। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে জেলায় এ সময়ের মধ্যে এতো বৃষ্টিপাত হয়নি। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত। বিগত বর্ষা মৌসুমে এ সময়টায় যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে এ বছর একই সময় বৃষ্টিপাত অনেকটাই অস্বাভাবিক। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ৬৯৬ মিঃ মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে মূলতঃ গত ১১ দিন সবচে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অর্থাৎ বাংলা শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকেই প্রতিদিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তির পাশাপাশি খেটে খাওয়া দিনমজুররা প্রতিনিয়ত পড়ছে বিপাকে। এছাড়া শহরের আশপাশের নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
একটানা বর্ষনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি অপসারনের জন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় শতশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। পানিবন্দি এসব পরিবারের মানুষদের স্বাভাবিক জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত প্রফেসার পাড়া ও নাজির পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগী মানুষদের এখন অন্যতম প্রধান দাবি হচ্ছে অচিরেই নির্মানাধিন ড্রেনের সাথে পরিকল্পনা অনুযায়ী নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। সরজমিনে প্রফেসার পাড়া, নাজির পাড়া, কোড়ালিয়া, বিটি রোড, জিটি রোড, পুরান বাজার রয়েজ রোড, নতুন রাস্তা এলাকায় দেখা যায় আশেপাশের পুকুর ডোবা নালা ভর্তি হয়ে মানুষের বাড়ি ঘরের উঠানে প্রচুর পরিমান পানি জমে চলাচল কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। প্রফেসার পাড়ার ভিতরে মোল্লা বাড়ি,গাজি বাড়ী, হাজি বাড়ি, মাতাব্বর বাড়ী, হাওলাদার বাড়ীসহ প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পনি বন্দি হয়ে আছে। এসব বাড়ীর লোকজন জানায়, পৌরসভার অর্থায়নে পানি অপসারনের জন্য যে ড্রেন নির্মান করা হয়েছে সেই ড্রেনের কোন পরিসমাপ্তি নেই। এক প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে অন্য প্রান্তের খোলা মুখ না থাকায় এ ড্রেন দিয়ে পানি যায়না। তাছাড়া ড্রেনটির উপরে অধিকাংশ স্থানে ঢাকনা না দেওয়ায় ড্রেনের উপরে ময়লা আবর্জনার স্তূপ পরে নির্মানাধিন ড্রেনটি সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে আছে। মরার উপর খারার ঘায়ের মতো বৃষ্টির পানিতে অধিকাংশ স্থানে ড্রেন পানিতে তলিয়ে থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী জানায়, পৌর কাউন্সিলররা কয়েকবার পরিদর্শনের আসার পরেও ড্রেনের মুখ বের করার এবং পানি অপসারনের কোন সুরাহা করতে পারেনি। অপরদিকে নাজির পাড়ায় জলাবদ্ধতার কারণে অনেকস্থানে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দেওয়ান বাড়ি, গাজী বাড়ির শত শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, ড্রেন থেকে বিভিন্ন ময়লা উত্তোলন করা হলেও সরকারি কলেজের পুকুরের চারপাশ ভরাট করা সহ এলাকার আশে পাশের অনেক পুকুর ডোবা ভরাট করে ফেলার জন্য পানি সামার কোন ব্যাবস্থা নেই। তাই নির্মানাধীন এ ড্রেনের পানি অপসারনের জন্য সরাসরি নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। তা’নাহলে বছরের পর বছর এভাবে পানি বন্ধি হয়ে থাকতে হবে। শহর ছাড়াও সদর উপজেলার তরপুরচন্ডি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে ডুবে আছে। বিশেষ করে বিটি ও জিটি রোডের পাশের বহু বাড়ি-ঘরে পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।
এদিকে গত কয়েক দিনে বৃষ্টির কারণে শহরের পুরাণবাজার এলাকায় প্রধান প্রধান সড়ক সহ পাড়া-মহল্লার সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রধান সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাগুলো একইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক রাস্তার পাশ দিয়ে দেবে গেছে।
সরজমিন পুরাণবাজার এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রয়েজ রোড, রামদাসদী রোড, বটতলা মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ ঢালাই উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রনাগোয়াল, পূর্ব জাফরাবাদসহ আরো কয়েকটি এলাকার সড়কগুলোর একপাশ দেবে গেছে। ইতিমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রধান প্রধান সড়কগুলো সুড়কি দিয়ে সংস্কারের মাধ্যমে সড়কগুলো সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। একই অবস্থা শহরের নব-নির্মিত বঙ্গবন্ধু সড়কের। এই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র দুই মাস আগে। অথচ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, কোন কোন স্থান দিয়ে পার ভেঙ্গে গেছে। আবার কোথায়ো কোথায়ো রাস্তা দেবে গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।