সকল মেনু

বিখ্যাত হলি-বলির শিশুরা

to1437818755বিনোদন প্রতিনিধি :  রুপালি পর্দার তারকাদের কী বয়স বাড়ে? বাড়ে। কিন্তু সবার নয়। এমন অনেক তারকা রয়েছেন যাদের শেষ ছবিটিই রয়ে গেছে দর্শকদের কাছে তাদের সর্বশেষ বয়স হিসেবে। কেননা এরপর তাদের আর পর্দায় দেখা যায়নি। ফলে দর্শকদের চোখে তাদের শেষ দেখা বয়সটিই রয়ে গেছে। আর এমনটিই ঘটেছে কিছু বিখ্যাত শিশুশিল্পীর ক্ষেত্রে। বলিউড আর হলিউডের এমন কিছু চিরায়ত আর বিখ্যাত শিশুর কথা ও তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এ প্রতিবেদন।

টবি ফ্রউড : ল্যাব্রিন্থখ্যাত বিখ্যাত শিশু টবিকে কে না চেনে। তবে ল্যাব্রিন্থে টবির জায়গা হয়েছিল বাবা ব্রায়ান ফ্রউডের মাধ্যমে। যিনি কিনা সিনেমাটির কস্টিউম ডিজাইনার ছিলেন। বাবার সেটে টবি প্রায়ই আসত। আর সিনেমাটির পরিচালকের দরকার ছিল একটি শিশুমুখের। ব্যাস! দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে টবি হয়ে গেল বিখ্যাত সিনেমাটির বিখ্যাত একটি অভিনেতা। তবে টবির সিনেমা জগতের গল্প সে পর্যন্তই! এরপর মাপেট ওয়ার্কশপে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করেন টবি আর যুক্ত হন কিছু ছবির স্পেশাল এফেক্ট দেওয়ার কাজেও।

টি জে কুহন : রাইজিং অ্যারিজোনার নাথার জে আর কে মনে আছে? মানুষের কাছে অনেক বিখ্যাত হলেও নাথারের ভূমিকায় অভিনয় করা কুহন কিন্তু মোটেও স্বস্তিতে ছিল না ছোটবেলার অভিনয় নিয়ে। বাবা-মায়ের সঙ্গে। এই সংক্রান্ত কথাতেও বেশ অপ্রস্তুত বোধ করতো সে। আর তাই ছবিকে বিদায় জানিয়ে আর দশটা মানুষের মতন সাধারণ জীবনে ফিরে আসেন কুহন। আর এই ব্যাপারটা নিয়ে সে কখনো কারো কাছে মুখও খোলেনি।

সোফিয়া কপোলা : দ্যা গডফাদারের সেই ছোট্ট মেয়েটার কথা মনে না পড়ার কোনো কারণই নেই। খুব সহজেই সবার মন কেড়ে নিয়েছিল শিশুটি। তবে সেখানে মেয়ে নয়, ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন সোফিয়া। পরবর্তীতে অভিনয় ছেড়ে দিলেন ছবির জড়তা ছাড়েননি তিনি। তার চিত্রনাট্য লস্ট ইন ট্রান্সলেশনের জন্যে অস্কারের মনোনয়ন পান তিনি। এছাড়াও ২০১০ সালে আমেরিকার পক্ষ থেকে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার জেতেন সোফিয়া।

জ্যাকব হেইনেস : লুক হু ইজ টকিং ছবির মিকি চরিত্রে মোট চারজন অভিনয় করেছিল। আর তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন জ্যাকব। মিকি চরিত্রের বড় বয়সের শিশুটি ছিলেন জ্যাকব। বর্তমানে তিনি ফ্লোরিডাতে আছেন। তবে অভিনয়কে ছেড়ে দেননি এই অভিনেতা। অবার্ণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতের ওপর পড়াশোনা শেষে তিনি এখন ওয়াল্ট ডিজনীতে কাজ করছেন এবং বেশ কিছু টিভি বিজ্ঞাপনেও কণ্ঠ দিয়েছেন।

উইল ও হ্যাঙ্ক ডিউটসেনড্রফ : ঘোস্টবাস্টারস ২ তে ড. পিটার ভেঙ্কমেনের কোলে উপস্থিত হলেও বর্তমানে সেখান থেকে সোজা কারাতে তে মনোনীবেশ করেছেন এই জমজ দুই ভাই। জন ডেনভারের এই ভাতিজারা ২৪ বছর বয়সে এসে ওয়েস্ট কোস্ট মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠানও চালু করেছেন যেটার জন্যে ১০ বছর বয়স থেকে কাজ শুরু করেন তারা।

ড্যানিয়েল ও জোশুয়া শালিকর : হানি, আই ব্লিউ আপ দ্যা কিড ছবির জন্যে তখন একজন ছেলে শিশু খুঁজছিলেন রেনে রসলেট। হাজার হাজার শিশুর ভিড় নেমেছিল। আর তাদের ভেতর থেকেই ২ জনকে বেছে নেন রেনে। আর তারা ছিল জমজ। একজন যখন কাজ করত অন্যজন তখন খেয়ে নিত বা ঘুমাতো। এই হিসেবেই নিজেদের কাজ সারে পুরো ছবিতে এই দুই ভাই। বর্তমানে অবশ্য ছবির ধারে কাছেও নেই এই দুইজন। বর্তমানে জশুয়া পি এন্ড জি এর মার্কেটিং কোঅর্ডিনেটর এবং ড্যানি ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন।

ক্রিস্চেইন ও কেইটলিন হুপার : পিউবার্ট অ্যাডামস হিসেবে অ্যাডামস ফ্যামিলি ভ্যালুজের একটি পর্ব হোম ইম্প্রুভমেন্টে অভিনয় করেন এই জমজেরা। তাও খুব ছোট বয়সেই। তবে নিজেদের ক্যারিয়ার খুব ছোট থেকে শুরু হলেও আর সামনে এগোয়নি তাদের। বরং নিজেদেরকে খোলোয়ার হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছ্ন্দ্য বোধ করেন এই দুই বোন।

আরোন স্মলনিস্কি : সুপারম্যানকে চেনেনা কে? আর এই সুপারম্যানের ছোটবেলার চরিত্রে যে শিশুটি আভিনয় করেছিল তার নাম হচ্ছে আরোন। ছোট্টবেলায় সুপারম্যান ছবিতে কাল-এল বা ক্লার্ক কান্ট হিসেবে আভিনয় করেন আরোন। সেই শুরু। এরপর একের পর এক সুপারম্যানের ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। অভিনয় করেন ম্যান অব স্টিল, এমভিপি, উইশমাস্টার ৩ ও দ্যা আউটার লিমিটের মতন ছবিতেও।

অ্যাডাম রবার্ট অরটন ও জ্যাকব জোসেফ অরটন : বেবিস ডে আউট ছবিটি দেখেনি এবং সেখানকার ছোট্ট আর দুষ্টু- মিষ্টি বাচ্চাটিকে ভালোবেসে ফেলেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুঃস্কর। আর ছবিটির এই চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন জমজ ভাই রবার্ট ও জ্যাকব। যাদের কেউই এখন আর ছবির দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত নন। অ্যাডাম বর্তমানে অন্টোরিয়োতে আছেন। আর জ্যাকব কাজ করছেন নিজের বেকারিতে।

ঝানাক শুক্লা : কাল হো না হো ছবির সেই মিষ্টি মেয়েটির কথা মনে আছে তো? কাপুর পরিবারের ছোট সদস্যদের একজন সেই মেয়েটি আর কেউ নয়, ঝানাক শুক্লা। শুধু কাল হো না হোই নয়। এর পরেও ঝানাক অভিনয় করে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন আর কারিশমা কা কারিশমা নামের একটি সিরিয়ালে। তবে খুব দ্রুতই ছবির ওপর আগ্রহ হারায় সে। আর পড়াশোনাকে বেছে নেয়। বর্তমানে একজন সমাজকর্মী হওয়ার স্বপ্ন দেখে ঝানাক।

আয়েশা কাপুর : ব্ল্যাক ছবির ছোট্ট বেলার রানীর চরিত্রে অভিনয় করেছিল মেয়েটি। আর এক ছবিতেই হাসি দিয়ে সবাইকে মাতিয়ে তুলেছিল। এখনো তার সেই হাসি ততটাই আকর্ষণীয়। আর সেই মেয়েটি হলো আয়েশা কাপুর।

আতিথ নায়েক : কাল হো না হো এর সেই ছোট্ট ছেলেটার কথা মনে নেই কার? ঝানাকের ভাই হিসেবে অভিনয় করেছিলো শিশুটি। আর সেই শিশুটিই হচ্ছে আজকের এই অতিথ নায়েক। বর্তমানে স্বল্প দৈর্ঘের ছবি নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তার!

আশা ছান্না : কাভি আলবিদা না কেহনা ছবিতে শাহরুখ খানের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করে এই শিশুলিল্পী। তবে বাস্তবে মেয়ে হলেও অনেকগুলো ছবিতে ছেলে হিসেবেই অভিনয় করে সে। আর তার বাবা-মাও কখনোই ছবির জগতের কাউকে জানতে দেয়নি যে তাদের সন্তান ছেলে নয়, মেয়ে।

জিবরান খান : কাভি খুশি কাভি গম ছবিতে অভিনয় করে প্রথম নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন জিবরান। তবে সেটুকুই শেষ নয়। এই শিশুশিল্পী বর্তমানে একজন পুরোদস্তুর মডেল!

জয়া আফ্রোজ : হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির সেই দুষ্টু-মিষ্টি মেয়েটির কথা মনে আছে? বর্তমানে ছবির জগত থেকে অনেক দূরে চলে যাওয়া সেই মেয়েটির নাম হচ্ছে জয়া আফ্রোজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top