নিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম : প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে পেশার খাতিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ফিরছে রাজধানীতে। নানা ভোগান্তি ছাপিয়ে নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরলেও প্রিয়জনদের ছেড়ে পেশার টানে ফিরতে হয়েছে বাড়ি ফেরা মানুষগুলোর।
বাস, ট্রেন এবং লঞ্চে করে যে যেভাবে পারছে ঢাকায় প্রবেশ করছে। তবে লঞ্চে করেই যেনো একটু বেশি আসছে মানুষ। লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়লে সেখান থেকে শুরু হয় মানুষের স্রোত।
বৃহস্পতিবার সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, একে একে লঞ্চ এসে টার্মিনালে ভিড়ছে আর লঞ্চ থেকে বের হচ্ছে শত শত মানুষ। লঞ্চ এসে থামার সঙ্গে সঙ্গে মানুষে ভরে যায় টার্মিনাল এলাকা। দাঁড়িয়ে, ছাদে, বসে যে যেভাবে পারছে ফিরছে।
যাত্রীর এই চাপ শনিবার পর্যন্ত থাকবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিআইএর ট্রাফিক পরিদর্শক হুমায়ূন কবির। তিনি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৭০টির মতো লঞ্চ ঘাটে এসেছে। সারাদিন আরো শতাধিক লঞ্চ আসবে। প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ ছিল। গতকালের চেয়ে আজকে যাত্রীর চাপ একটু বেশি বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এবার যাত্রীরা অনেক শান্তি আর নিরাপদে ঢাকায় ফিরেছে। লঞ্চে কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া যাত্রীদের তেমন কোনো অভিযোগও নেই। সব মিলিয়ে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারছে এটাই বড় বিষয়।
ফিরতি যাত্রীরাও স্বাচ্ছন্দে ঈদ কাটিয়ে এসে রাজধানীতে ফিরতে পেরে খুশি। তবে অনেকের মধ্যে অতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে দেখা গেছে। এখন যারা ঢাকায় ফিরছে বেশিরভাগই সরকার নির্ধারিত ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ছুটি মিলিয়েছেন।
ফিরতি যাত্রী রনি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, বাড়ি ফেরার সময় অনেক কষ্ট হলেও প্রিয়জনের মুখ দেখে সে কষ্ট ভুলে যাই। তবে ঢাকায় ফেরার পথে কোনো রকম ভোগান্তি বা কষ্ট হয়নি।
বরিশাল থেকে আসা সরকারি কলেজের এক ছাত্র আফজাল বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। কয়েকটা দিন অনেক ভালো কেটেছে। গ্রামে খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরা অনেক শান্তি। যার জন্য আসতেই মন চাচ্ছিল না সবাইকে ছেড়ে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।