সকল মেনু

সাশ্রয়ী মূল্যে ‘দুরন্ত’ রানার মোটরসাইকেল

mail.google.comহটনিউজ ডেস্ক: দেশীয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রানারের ‘দুরন্ত’ মোটরসাইকেলের চাহিদা বাড়ছে। সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ৮২.২ সিসির এই মোটরসাইকেল ইতিমধ্যে গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। বাজারে আসার মাস দুয়েকের মধ্যেই দুরন্তের স্টক ফুরিয়ে যাওয়ায় এর উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। ভালুকায় ১২৫ বিঘা জমির ওপর রানারের পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল কারখানায় বর্তমানে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫০০ মোটরসাইকেল। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা শিগগিরই উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে।

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দেশীয় কোম্পানি হিসেবে বাংলা ব্র্যান্ড নামের মোটরসাইকেল দুরন্তের অভাবনীয় সাফল্য আমাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে। গ্রাহক সেবাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আমরা সকল মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৬ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছি যা আর কোন কোম্পানি দেয়নি। তাছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং নতুন ডিজাইনের সমন্বয়ে দুরন্ত গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’

২০০৭ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার বাংলাদেশে প্রথম মোটরসাইকেলের কম্পোনেন্টস্ তৈরীর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে-যা বুয়েট এবং বিআরটিএ অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে রানার পানচিং, ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং, এসেম্বলিং, টেষ্টিং ইত্যাদি মেশিনারীজ স্থাপনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী হিসাবে সরকারী অনুমোদন লাভ করে। পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল কারখানা ২০১২ সালে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করে। ইতিমধ্যে ভালুকায় স্থাপিত কারখানায় মোটরসাইকেলের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ যথা: চেসিস, রিয়ার ফোরক, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, মেইন স্ট্যান্ড, সাইড স্ট্যান্ড, ফুট পিগ ইত্যাদি তৈরি এবং ইঞ্জিন সংযোজন করা হচ্ছে। এ সকল যন্ত্রাংশ রং করার জন্য অত্যাধুনিক পেইন্ট শপ স্থাপন করা হয়েছে। রানার অটোমোবাইলস্ ২০০ এর অধিক সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর গ্রাহক সেবা কার্যক্রম সারা বাংলাদেশ জুড়ে দিয়ে থাকে। রানার সার্ভিস সেন্টার বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পৌঁছে দিতে সক্ষম।

রানারের নিজস্ব প্রকৌশলীদের ডিজাইন করা দুরন্ত মোটরসাইকেলে আছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার ৪ স্টোক এয়ার কুলড পেট্রোল ইঞ্জিন। ইঞ্জিন ৪.০ কিলোওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে। ইঞ্জিনের ঘুর্ণন গতি ৭৫০০ আরপিএম। মোটরসাইকেলটিতে কিক দিয়ে স্টার্ট দিতে হয়। ফুয়েল ট্যাংকে ৭.৫ লিটার জ্বালানির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। দুরন্তের ওজন ৭৪.৫ কেজি। এটির স্পোকের চাকার এই বাইকে সামনের ও পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক আছে।

রানারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপনন) মো: মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে ৫০ ও ৮০ সিসি ক্ষমতার মোটরসাইকেল ব্যবসায় রানার অটোমোবাইলস্ বর্তমানে মার্কেট লিডার হিসেবে অবস্থান করছে। দেশীয়ভাবে মোটরসাইকেল প্রস্তুতকরনের কারনে রানার সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহককে মোটরসাইকেল সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।’

রানার অটোমোবাইলের বিক্রয় কর্মকর্তা মো. হোসাইন চৌধুরী জানান, দুরন্ত মোটরসাইকেলটি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। দাম কম হওয়ার কারণে দুরন্তের চাহিদা বাড়ছে। বাজেটের পর মোটরসাইকেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুরন্তের চাহিদা আরো বেড়েছে। নগদের পাশাপাশি কিস্তিতেও দুরন্ত মোটরসাইকেল কেনার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে অর্ধেক দাম পরিশোধ করে বাকি টাকা কিস্তিতে দেওয়া যাবে। তিন মাসের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধ করলে সুদ দিতে হবে না। কিন্তু এর বেশি সময়ে কিস্তি পরিশোধ করলে শতকরা ২.৫ হারে সুদ দিতে হবে। সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে।

দুরন্ত মোটরসাইকেলটির ছয় বছরের ইঞ্জিনের ওয়ারেন্টি রয়েছে। প্রথম বছরে ৪টা, দ্বিতীয় বছরে ৩টা এবং চতুর্থ বছরে ২টা ফ্রি সার্ভিস রয়েছে। কিস্তিতে কেনার জন্য দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, কর্মজীবীদের আইডিকার্ডের ফটোকপি অথবা ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব এবং দুইজন গ্যারান্টারের প্রত্যয়ন লাগবে। এসব কাগজপত্র এবং মোটরসাইকেলের দামের ৫০ ভাগ পরিশোধ করলে অনায়াসেই মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে। রানার অটোমোবাইলের যেকোনো শোরুমে দুরন্ত মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top