সকল মেনু

কোকেন আমদানিতে জড়িত ৪ দেশের সিন্ডিকেট

1436550059

নিজস্ব প্রতিবেদক- চট্টগ্রাম, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১১ জুলাই : চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে কোকেন আমদানির ঘটনায় ৪ দেশের সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সিন্ডিকেটের ৭ সদস্যের পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ মামলায় রিমান্ডে থাকা ৪ আসামির প্রদত্ত তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বকুল মিয়া কোকেন পাচার চক্রের মূল হোতা। ব্রিটেনে তার সাথে রয়েছে আরো ৩ সহযোগী। কোকেন পাচারে অর্থের জোগান দিয়েছে বকুল মিয়ার ব্যবসায়িক পার্টনার ও ভারতীয় ব্যবসায়ী রাজু। রাজুকে সহযোগিতা দিয়েছে তারই এক স্বদেশী। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ার এক নাগরিকেরও কোকেন পাচার চক্রে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরো জানায়, তাদের পরিকল্পনা ছিল চট্টগ্রাম বন্দরকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে কোকেন পাঠানো। এরপর ভারত থেকে পশ্চিম ইউরোপ অথবা উত্তর আমেরিকা। এদিকে কোকেন পাচার চক্রের সন্ধানে ব্রিটেন, ভারত ও বলিভিয়ায় তদন্ত দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী গত শুক্রবার বলেন, মামলার তদন্ত চমৎকারভাবে এগিয়ে চলেছে। ৪ জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্যই পাওয়া গেছে। কোকেন চক্রে বাংলাদেশে কারা জড়িত সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা এখন অনেকটাই স্বচ্ছ। তবে এ ঘটনায় ব্রিটেন, ভারত ও বলিভিয়ার নাগরিকদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠায় এসব দেশেও তদন্ত দল পাঠানো হবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে এ মামলায় মাদক আইনের পাশাপাশি চোরাচালানের ধারা সংযোজনের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে এ আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, মামলাটি প্রথমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১ (খ) ধারায় রুজু করা হলেও এর পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি) ধারা সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে। এজন্যই আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আগামী রোববার মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে রিমান্ডে  থাকা আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া কোকেনের চালানটির উৎস দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। বলিভিয়া থেকে কোকেনের চালান ট্রাকে করে নেয়া হয় উরুগুয়েতে। উরুগুয়ের মন্টিভিডিউ বন্দর থেকে কোকেন চীনের পতাকাবাহী এমভি কসকো-চায়না ০৬৪ ই জাহাজে তোলা হয়। গত ২১ মে সিঙ্গাপুরে এসে জাহাজ বদল হয়। সেখান থেকে এ চালান কসকো শিপিংয়ের পরিচালনাধীন অন্য একটি জাহাজে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। গত ৮ জুন কোকেন রয়েছে সন্দেহে জাহাজের একটি কন্টেইনার আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। প্রাথমিক পরীক্ষার পর তরলে কোকেনের অস্তিত্ব নিশ্চিত হতে পারেনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে পরবর্তীতে ঢাকায় উন্নত পরীক্ষার পর কোকেনের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয় তারা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বন্দর থানায় মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মহানগর ডিবি পুলিশ। ঘটনা তদন্তে ১০ সদস্যের টিম করেছে সিএমপি।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top